প্রযুক্তি বিষয়ক জায়ান্ট সার্স ইঞ্জিন গুগল অস্ট্রেলিয়ায় মানহানি মামলায় জয়ী হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা একটি সংবাদপত্রকে আর্টিকেলের লিঙ্ক সরবরাহ দেয়ার অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হয়েছিল। আজ অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট সেই মামলাকে বাতিল করে দিয়েছে। এর ফলে অনলাইনের আর্টিকেল শেয়ার বিষয়ে দেশটিতে কিভাবে নীতি নির্ধারণ হবে তা নতুন করে আলোচনায় ফিরে এসেছে।
এর আগে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, গুগলের মূল কোম্পানি আলফাবেট ইনকরপোরেশনের এই ইউনিট বিতর্কিত একটি আর্টিকেল প্রকাশে সহায়তা করেছিল। এক্ষেত্রে তারা একটি ‘লাইব্রেরি’ হাউজিংয়ের মতো কাজ করেছে। এ মামলায় বুধবার অস্ট্রেলিয়ার হাইকোর্টের সাত বিচারকের প্যানেল ভোটাভুটি করে। তাতে ৫-২ ভোটে মামলাটি বাতিল হয়ে যায়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে নতুন করে একটি প্রশ্ন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। তা হলো অনলাইন বিষয়ে মানহানির দায়বদ্ধতা কোথায়।
গুগল এবং মেটা প্লাটফরমের ফেসবুকের মতো বড় পরিসরের প্লাটফরমে কুৎসা রটানো বিষয়ে আইনের চূড়ান্ত সুপারিশ অনেক বছর পর এখনও পাওয়া যায়নি।
এই মামলাটি সামনে আসে ২০০৪ সালের একটি আর্টিকেল থেকে। তাতে বলা হয়, বিবাদীপক্ষের একজন আইনজীবী ক্রিমিনালভাবে পেশাগত সীমা অতিক্রম করেছেন এবং অপরাধীদের কাছে বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছেন। ওই আইনজীবী জর্জ ডেফটারোস ২০১৬ সালে গুগলে সার্স করে একটি রিপোর্টের লিঙ্ক পান। ১৫০ জন মানুষ দেখার পর গুগল সেটা সরিয়ে ফেলেছে। ফলে রাজ্যের আদালতে মামলা করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, গুগল এখানে প্রকাশক। আদালত গুগলকে নির্দেশ দেয় তারা যেন ওই আইনজীবীকে ৪০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে গুগল। তার শেষ হয় বুধবার।
এদিন রায়ে আদালত বলেছেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের ওই আর্টিকেলটি আপিলকারীর কোনো কর্মচারী বা এজেন্ট লেখেননি। এক্ষেত্রে আপিলকারী হলো গুগল। ওই আর্টিকেল লিখেছিলেন একজন রিপোর্টার। তার সঙ্গে আপিলকারীর কোনো যোগসূত্র নেই। তা নিরপেক্ষ একটি খবরের কাগজ প্রকাশ করেছিল। তাদের ওপর আপিলকারীর কোনো নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব ছিল না। গুগল ইন্টারনেটের মালিকও নয়, নিয়ন্ত্রণও করে না।
রয়টার্স
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |