দেশে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি দ্বৈত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)ধারী বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “যাদের দ্বৈত এনআইডি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—প্রথমটি বহাল থাকবে এবং দ্বিতীয়টি বাতিল করা হবে।”
মানুষকে দ্রুত ও সহজে সেবা দিতে কমিশনের আন্তরিকতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “যৌক্তিক আবেদনগুলো কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় মিলে আমরা চাচ্ছি যেন দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়।”
এনআইডি অনুবিভাগে জমা পড়া বিপুল আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন ও কিছু ক্ষমতা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আঞ্চলিক পর্যায়ে এনআইডি যাচাই ও অনুমোদনের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া মনিটরিং করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “১৩ কোটির বেশি নাগরিকের তথ্য এক এক করে খুঁজে দেখা সম্ভব নয়। কেউ তথ্য দিলে এবং আমরা তা যাচাই করতে পারলে ব্যবস্থা নিই।”
রোহিঙ্গাদের এনআইডি পেতে না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের সক্ষমতা থাকলে তাদের ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়া সম্ভব হবে না। আমরা সর্বোচ্চ যাচাই-বাছাই করেই ভোটার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করব।”
তিনি আরও জানান, শুরুতে রোহিঙ্গা বিষয়ক ডেটাবেইস নির্বাচন কমিশনকে এপিআইয়ের মাধ্যমে দেওয়ার কথা থাকলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এই তথ্য সরকার নিজেই সংরক্ষণ করবে। ফলে রোহিঙ্গা এবং বিদেশিদের জাতীয় পরিচয় ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকছে না।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?