সিঙ্গাপুর প্রবাসী কম্যুনিটি নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ, সকল প্রকার দুর্নীতি, অন্যায় অবৈধ নোংরা রাজনৈতিক আচরণ পরিহার করে পজিটিভ গুণ নিয়ে দেশ তথা দেশের মানুষজনের সেবায় ঐক্যবদ্ধ হোন। নিজেদেরকে বিশ্ব দরবারে বীর হিসেবেই প্রমাণ দিন।
মানুষের কর্মস্থল কিংবা বসবাস পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক না কেন, সে খোঁজে তার শিকড়। এটা মানুষের একটি সহজাত বৈশিষ্ট্য। মানুষে মানুষে মিলে হয় সমাজ। সেখানে ভাষায়-ভাষায় ঘটে আদান-প্রদান। গড়ে ওঠে সম্পর্ক। সম্পর্ক ঘিরে শুরু হয় বসবাস।
বসবাসের পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতায় প্রভাবে সৃষ্টি হয় আত্মপ্রকাশের সংস্কৃতি। যার নিত্যদিনের প্রকাশ আর অভিজ্ঞতার আলোকে জন্ম নেয় একটি জাতীয় সত্তা। আর জাতীয় সত্তাকে ধারণ করতে যেয়ে প্রবাসীরা দীর্ঘ সময় সমাজ-সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। সিঙ্গাপুরও এর ব্যতিক্রম নয়।
এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা না পারে ঠিক মতো স্বদেশ-সংস্কৃতির চর্চা করতে, না পারে এদেশের সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরতে। সমাজ-সংস্কৃতির এই বন্ধ্যাত্ব দূর করার এক টুকরো প্রয়াস নিজস্ব কমিউনিটি’র ছোট-বড় সংগঠন, নিজস্ব ভাষাভাষীর স্কুল। এগুলো সবই যেন প্রবাসে এক টুকরো স্বদেশ, প্রবাসীদের প্রত্যাশার আকাশে এক চিলতে রোদ্দুর।
এরই মাঝে আরও একটু পরিচিতি আর তৃপ্তির আশায় কেউ কেউ স্বদেশি রাজনীতির আবরণে এখানেও চায় নিজেকে জড়াতে, নিজেকে আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা খুঁজে ফেরে। এসবই আপাতদৃষ্টিতে ঠিকই আছে, প্রবাসে বসে স্বদেশকে ধারণ করা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এই স্বদেশকে ধারণ করার অন্তরালে কেউ হীন মনোবৃত্তি আর স্বার্থ হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তখন গৌরবের চেয়ে লজ্জা বেশি অনুভ‚ত হয়।
গত ৬ ডিসেম্বর ছিল সিঙ্গাপুরস্থ বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেরি সোসাইটি (বিএলএলএস) এর ‘অভিভাবক প্রতিনিধি পর্ষদ’ নির্বাচন। বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে অভিভাবক পর্ষদসহ যে নির্বাচনই হোক না কেন “অমুক ভাই, তমুক ভাই” কালচার (আপনাদের সু-পরিচিত মুখ, সদা হাস্যোজ্জ্বল, সমাজসেবক, তাকে ছাড়া স্কুলের উন্নয়ন সম্ভব নয় ইত্যকার নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে) থাকে এখানেও তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। অবাক হয়েছি এই ভেবে, সিঙ্গাপুরের মতো একটি আধুনিক দেশেও কিভাবে একই সংস্কৃতি ধারণ ও প্রয়োগ করা সম্ভব। আরেকটা জিনিস না বললেই নয় এখানে প্রবাসীরা মোটা দাগে দুটো দলে বিভক্ত। একটি হোয়াইট কলার অন্যটি ব্লু কালার।
স্বকথিত কতিপয় এলিট সম্প্রদায়ভুক্তরাই দেশিয় অপসংস্কৃতিগুলো মূলত এখানে প্রয়োগ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত সেটা ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল কলেজ, দেশের যে কোন কাজই হোক না, সবজায়গাতেই তাদের একাধিপত্য বজায় রাখা চাই-ই। বিদগ্ধজনেরা বলতে পারেন, এর তো প্রতিকার করা সম্ভব।
আসলে আমাদের “সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেবো কোথা”। আমাদের ¯স্নায়ুতন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্বদেশি সংস্কৃতি চর্চার আড়ালে চলে কূপমন্ডুকতা ও কদর্যতার বৃথা আস্ফালন। তখন ¯স্নায়ু বাঁচানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় বৈকি। কিন্তু পদমর্যাদা আর পদলেহনের নোংরামী আমাদের পিছু ছাড়ে না। সময়, স্থানের পরিবর্তন হয়, আমরা এলিট শ্রেণীভুক্ত হই তবুও পুরনো অভ্যাসকে ছাড়তে পারি না তাকে ধারণ করি, সাথে নিয়েও ঘুরে ফিরি, নিস্বার্থভাবে ছড়িয়ে দেই দেশ থেকে দেশান্তরে।
একটি স্কুল সংস্কৃতি চর্চা ও শিক্ষার পাদপীঠ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের মিলনক্ষেত্র। অথচ এটিকেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দিতে নারাজ কতিপয় স্বঘোষিত এলিট ও ব্যবসায়ী শ্রেণী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রবাসী বলেছেন,“আশ্চর্য লাগে যখন দেখি, সিঙ্গাপুরস্থ বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেরি সোসাইটি (বিএলএসএস) স্কুলের “অভিভাবক প্রতিনিধি পর্ষদ” নির্বাচনে পুরোদস্তুর ব্যবসায়িক মনোভাবাপন্ন পদলোভী কতিপয় ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার উন্নয়নের সাথে যাদের নেই ন্যূনতম যোগসূত্র তাদের প্যানেলকেই জয়যুক্ত করানোর জন্য সকল অভিভাবকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমন সব ব্যক্তিদের ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে আহ্বানকে ভাইরাল করার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যাদের সাথে সিঙ্গাপুরের দু’টি বাংলা স্কুলের একটিরও নেই বিন্দুমাত্র কোনও সম্পর্ক।”
এখানেই শেষ নয়। প্রতিবার একটি প্যানেল করে নির্বাচন সম্পন্ন করা হলেও বিগত ২৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম একাধিক প্যানেল করে, স্থানীয় রেস্টুরেন্টে ডিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশের মতো রাজনৈতিক স্টাইলে নির্বাচন করা হয়েছে, বিদেশ বিভূঁইয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য যা ছিলো চরম দৃষ্টিকটুমূলক একটি দৃষ্টান্ত। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, অভিভাবকেরা তাদের মূল্যবান ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতারই পরিচয় দিয়েছেন।
পর্ষদের সভাপতি পদপ্রার্থী চৌধুরী সুফি নূর উল মওলা (মওলা) তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শামসুর রহমান (ফিলিপ)এর চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৬০ ও ১৩০। ভাইস-প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন) পদে মো. মোকাররম হোসেন টিপুর চেয়ে ৫১ ভোট বেশি পেয়ে মো. রুহুল আমীন (আমীন) জয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত মোট ভোট সংখ্যা ২১৯ টি। ভাইস-প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক) পদে আবুল কাসেম মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ তার প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল আওয়াল হোসেনকে ৫৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বিতীয়বারের মত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন বাবু সমীর চন্দ্র দাস। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে শাহরিয়ার খালিদ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্যানেলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ মামুনের চেয়ে ৬০ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, পরাজিত প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৬৪। কোষাধ্যক্ষ পদে এ এ এম হাফিজুল হায়দার ২৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সাধারণ কমিটির সদস্য হিসেবে বিজয়ীরা হলেন মো. হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী, মাহবুবুর রহমান (কাঞ্চন), মো. মশিউর রহমান খান (লিটন), মো. মনিরুজ্জামান খান (মনির), মো. এমদাদ হোসেইন (এমদাদ) প্রমুখ। নির্বাচন সম্পন্নের পর নব নির্বাচিত পর্ষদের বিজয়ীদের অভিবাদন জানিয়ে পর্ষদের সদ্য বিদায়ী সভাপতি জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীসহ পূর্ববর্তী পর্ষদের সকল সদস্যবর্গ পদত্যাগ করেন।
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন যে বাংলা স্কুলেই প্রথম সিঙ্গাপুরে পরিলক্ষিত হলো তা কিন্তু নয়। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম) এর নির্বাচন। অনেক জল্পনা কল্পনার সেই নির্বাচনেও প্রথমবারের মতো জাল ভোট পড়ে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময়ে ৪টি জাল ব্যালট সকলের সামনে উন্মোচন করা হয় ও কিভাবে ৪টি জাল ভোট আসল তার ব্যাখ্যা দেয়া হয়। হল ভর্তি উপস্থিত সদস্যরা তখন স্তম্ভিত হয়ে পড়েন ও এই ঘৃণিত কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন। জাল ভোট ছাড়াও প্রথম থেকেই নির্বাচন নিয়ে সংগঠনটির নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
সদস্যদের মধ্যে নানানরকম মতবিরোধ, দেশীয় সংস্কৃতির আদলে ভোট কেনা-বেচা, ব্যালটে কারসাজি প্রভৃতি বিষয়গুলোর প্রতিফলন দেখা যায় শতভাগ স্বচ্ছ আইন ও সহিষ্ণুতার দেশ সিঙ্গাপুরের এই ব্যবসায়ী সংগঠনের নির্বাচনের মধ্যেও। সাধারণত স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাসরত যেসব বাংলাদেশি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় দেশে সরকারি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেশ ও বিদেশ উভয় স্থানে ব্যবসার উৎকর্ষ সাধনে সহায়ক হয়।
একারণেই তারা একই সংস্কৃতি সর্বত্রই ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের আখের গোছানোতে ব্যস্ত থাকেন সবসময়ে। আরেকদিকে যোগ্য-অযোগ্যের বাছ-বিচার না করে অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হবার জন্য একশ্রেণীর হীন মানসিকতা বোধসম্পন্ন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ব্যক্তিরা এদেরকে সমর্থন জুগিয়ে যান ভবিষ্যত লাভের আশায়। পদ ও ক্ষমতার লোভে কমিউনিটির বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ড কিম্বা বিভিন্ন সংগঠনের নির্বাচনে যাদের অশুভ পদচারণা সাধারণ প্রবাসীরা প্রত্যক্ষ করেছে বার বার, এ সমস্ত মতলববাজ, মুখোশধারী ব্যক্তিদের প্রত্যাখান করে বিএলএসএস’র সদস্যরা প্রকৃত মঙ্গলের পথই সুগম করেছেন।
বিশ্বের প্রায় সবদেশেই বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যে কতিপয় অতিচতুর নীতিবিবর্জিত বাঙালি বৈধ ব্যবসার আড়ালে নানান অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতো সম্পদশালী হয়ে উঠছেন, সামান্য ব্যক্তিগত লাভের জন্য তারা দেশের জাতীয় অর্থনীতিকে পিছিয়ে দিচ্ছেন। বড়ই দুঃখ লাগে। যখন দেখা যায় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরাই এইসব ব্যবসা পরিচালনা করেন। যে যান লংকায় উনি রাবন হয়ে যান। এদের হাত ধরেই বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সব দেশেই চলে বাংলাদেশের রাজনীতি, কম্যুনিটির ভাল-মন্দ, উন্নয়নের চর্চা। চলে দলাদলি, গ্রুংপিং-লবিং। এছাড়া বাংলাদেশে প্রবাসীদের মোটাদাগে ‘এলিট’ ও ‘আদার’ হিসেবে দেখার একটা অপ-প্রবণতা আছে।
আর এই মানসিকতাই প্রবাসের বাংলাদেশিদের খন্ড-বিখন্ড করছে দিনের পর দিন। ফলে প্রবাসে অন্য দেশের মানুষগুলো চাকরি ও বাণিজ্য যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা সেভাবে এগিয়ে যেতে পারছে না।
তারা নিজেরাই নিজেদের মাঝে বিভক্তির আইল তুলে রাখছে। অনেকে ঠাট্টা করে বলে থাকেন, বিদেশে গেলে নাকি দেশের প্রতি টান বেড়ে যায়। তবে ঠাট্টা করে বলা হলেও কথাটা ঠিক। দেশের প্রতি প্রবাসীদের বিশেষ একটা টান সব সময় আছে। ভিন্ন ভিন্ন দল ও মতে আস্থা সবারই আছে। সে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই অন্য কারো। রাজনৈতিক দর্শনে ভিন্নতা থাকলেও দেশের প্রতি মমত্ববোধের জায়গাটি কিন্তু প্রায় অভিন্ন রাখা সবারই উচিত। ‘রাজনৈতিক ডিগবাজি বিশারদ’ হিসেবে আমরা কেউই ভুলত্রুটির ঊর্ধে নই।
আমাদের অতীতের সব কিছুই নির্ভুল ও নিখাদ নয়। আমরা যদি কেবল অতীত চর্চা করতে থাকি, তাহলে বিদেশে, দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, দেশের জন্য কিছু করার ক্ষেত্রে এমন গ্রæপিং-লবিং প্রধান অন্তরায়। ক্ষমতা আর অবৈধ অর্থের মোহে দেশকে কলুষিত করার নোংরা রাজনীতির এ জঘন্য বাস্তবতা পরিহার করা না গেলে বাংলাদেশিদের কপালে আরো অনেক দুর্ভোগ নেমে আসবে। এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
দীর্ঘ সময় সিঙ্গাপুরের মতো একটি স্বচ্ছ আইন, উন্নত ও আধুনিক দেশের সংস্কৃতির সাথে ওঠাবসা করলেও, আমরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারিনি কিছুই। ব্যবসা-বান্ধব এ দেশটির সকল ধরণের নাগরিক সেবা ও সুযোগ-সুবিধা শতভাগ ভোগ করেও দেশের দুর্বৃত্তায়িত সমাজ ও রাজনীতির বিষবাষ্প আমাদের মধ্যে আজও বিরাজমান।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী কম্যুনিটি নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ, সকল প্রকার দুর্নীতি, অন্যায় অবৈধ নোংরা রাজনৈতিক আচরণ পরিহার করে পজিটিভ গুণ নিয়ে দেশ তথা দেশের মানুষজনের সেবায় ঐক্যবদ্ধ হোন। নিজেদেরকে বিশ্ব দরবারে বীর হিসেবেই প্রমাণ দিন।
সিঙ্গাপুরে বাংলা স্কুলের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলো তারা যেন অতীতের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে পুরনো ভুলত্রæটি সংশোধন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অঙ্গীকারের মাধ্যমে আগামীর জন্য তৈরি হয়। দেশের স্বার্থে ব্যক্তি স্বার্থ, দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে প্রবাসে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |