clock ,

জনগণের হাতে থাকা অর্থের একটি বড় অংশ আবারো ব্যাংকে ফিরেছে

জনগণের হাতে থাকা অর্থের একটি বড় অংশ আবারো ব্যাংকে ফিরেছে

২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসে প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক খাতে যোগ হয়েছে। এই মাসে ব্যাংক আমানত বেড়ে মোট ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা গত বছরের জুন মাসে ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। এত বড় পরিমাণ অর্থের ফিরে আসার মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা একাধিক কারণ তুলে ধরছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন। ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। অনেক গ্রাহক তখন ব্যাংকের ভবিষ্যত অবস্থান নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে তাদের টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেন। এরপর, রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে গ্রাহকেরা আবারো তাদের টাকা ব্যাংকিং সিস্টেমে ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছেন। এছাড়া, ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে সুদের হারও বেড়েছে, যা গ্রাহকদের ব্যাংকে তাদের অর্থ রাখার জন্য প্রণোদনা জোগাচ্ছে। এতে আরও আমানত আসছে, পাশাপাশি ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ ছিল লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বরের শেষে তা কমে লাখ ৭৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই হিসাব অনুযায়ী, মাসের ব্যবধানে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং সিস্টেমে ফিরেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এদিকে, ব্যাংকগুলো তাদের ঋণের পরিমাণও বাড়িয়েছে, যা গত ডিসেম্বর মাসে ১৭ লাখ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা পৌঁছেছে। অর্থাৎ, ব্যাংকগুলো তাদের আমানতের প্রায় ৯৬ শতাংশই ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে, যা অর্থনীতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়ক হতে পারে।

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য