মুসলমানদের ঈমান-আমল হেফাজত, অমুসলিমদের মাঝে ইসলাম প্রচারসহ প্রবাসীদের জন্য কল্যাণমূলক নানা পরিকল্পনা নিয়ে ইতালিতে বাংলাদেশিদের নতুন সংগঠন আত-তাক্বওয়া কালচারাল এসোসিয়েশন যাত্রা শুরু করেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইতালির ইয়েসি শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটি তাদের যাত্রা শুরু করে। ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত এই সংস্থা নিজস্ব ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম নতুন উদ্যোমে শুরু করেছে।
আত-তাক্বওয়া কালচারাল এসোসিয়েশনের দায়িত্বশীল রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ইতালির মিলানো থেকে আগত মাওলানা ইউনুস আলী। মাওলানা আব্দুর রহিম ও মাওলানা সুলাইমান সাদীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আত-তাক্বওয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইয়াকুব হাসান, সংস্থার দায়িত্বশীল, স্বেচ্ছাসেবক এবং স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত ধর্মপ্রাণ প্রবাসীরা। অনুষ্ঠানে ইতালি প্রবাসী উলামায়ে কেরামের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ আবির সরকার, মুফতি আরাফাত হোসাইন, মুফতি মাহদি হাসান ও মাওলানা ইমরান হোসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসে আমাদের অনেকেরই কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। তাই আমরা সবাই মিলেই একটি পরিবার। আমরা পরস্পরের খোঁজ নেব, সবাই মিলে দ্বীন শিখব, আমল করব; তাহলেই আমরা প্রবাসে সুন্দর একটি সমাজ গড়তে পারব। তিনি আরও বলেন, প্রবাসে আমরা সবাই একে অপরের বন্ধু। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে খুব সহজে আমাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেমন- মসজিদ, মাদরাসা ও কবরস্থান ইত্যাদি গড়ে তুলতে পারব। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের একে অপরকে মন থেকে ভালোবাসতে হবে, একে অপরের জন্য মন থেকে দোয়া করতে হবে এবং মন থেকে একে অপরের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রবিউল ইসলাম বলেন, মসজিদ ইসলামি সমাজব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। এটি শুধু ইবাদতের স্থান নয়, বরং এখান থেকেই মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, জ্ঞান ও ইসলামি শিক্ষা বিস্তারের সূচনা হয়। আমরা ইতালির সকল মুসলিম প্রবাসীদের জন্য ঈমান, আমল, ইবাদত-বন্দেগি, মুয়ামালাত, মুয়াশারাত, আখলাকসহ দীনের সব শাখার মেহনত ও চর্চা অব্যাহত রাখার এক বিরাট লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি।
সংস্থার প্রজেক্ট সম্পর্কে তিনি জানান, আমরা মসজিদ, মাদরাসা ও সামাজিক কার্যক্রমভিত্তিক প্রায় ত্রিশের অধিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সকল মুসলিমদের ঈমান-আমল হেফাজত, অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত উপলক্ষ্যে ‘ওপেন ডে’ আয়োজন, খাবারের কোয়ালিটি ও হালাল-হারাম নিরীক্ষণে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ল্যাবটেস্ট, মাদরাসার কিতাব বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও ইংলিশ মিডিয়াম ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামি কোর্স ও কর্মশালা এবং ক্যারিয়ারভিত্তিক কোর্স ও কর্মশালা আয়োজন করা, সম্মিলিত তহবিল গঠন করে বৃহৎ বাণিজ্য সংস্থা গড়ে তোলারও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
এ সময় তিনি বিত্তবান মুসলিমদের উদ্দেশে বলেন, আমরা সকল ভাই-বোনদের প্রতি বিনীত নিবেদন জানাই, আপনারা আমাদের এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে সকল প্রকার দান-সদকা ও সেবার মাধ্যমে অবদান রাখুন।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?