যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান সি-১৭, যেটি অভিবাসীদের নিয়ে গুয়াতেমালায় ফেরত পাঠানোর জন্য রওনা হয়েছিল, মেক্সিকোর অনুমতি না পাওয়ায় অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার, দুটি সামরিক বিমানে প্রায় ৮০ জন করে অভিবাসী গুয়াতেমালায় ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল।
মেক্সিকোর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়,
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে এবং অভিবাসনসহ বিভিন্ন
বিষয়ে তারা একে অপরকে
সহযোগিতা করছে। তবে বিমানের অবতরণে
বাধা দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কোনো
মন্তব্য করেনি মেক্সিকো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি 'রিমেইন ইন মেক্সিকো' কর্মসূচি
পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। এ নীতির আওতায়,
আশ্রয়প্রার্থীদের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত
মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে বাধ্য করা
হয়। তবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
ক্লডিয়া শেইনবাউম বলেন, “মেক্সিকো এমন কোনো পদক্ষেপে
সম্মতি দেয়নি।”
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায়
মেক্সিকোর সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে সীমান্তে অতিরিক্ত ১,৫০০ সেনা
মোতায়েন করেছে এবং আরও সেনা
মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে।
ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকান ড্রাগ কার্টেলগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া মেক্সিকান পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ
ট্যারিফ আরোপ এবং গালফ
অফ মেক্সিকোর নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবও
দিয়েছে।
সামরিক
বিমানে অভিবাসী ফেরত পাঠানোর প্রথম
ঘটনা
এক মার্কিন কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, সামরিক
বিমান ব্যবহার করে অভিবাসী ফেরত
পাঠানোর এমন উদ্যোগ এটাই
প্রথম। পেন্টাগনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এল পাসো, টেক্সাস
এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো থেকে
পাঁচ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ফেরত
পাঠানো হবে।
গুয়াতেমালা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল একটি চার্টার্ড বাণিজ্যিক বিমানে করে ৮০ জন নির্বাসিত অভিবাসী দেশে ফিরেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসননীতি এবং সামরিক বিমান ব্যবহার নিয়ে মেক্সিকোর সঙ্গে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। মেক্সিকো এ মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্তে আপত্তি জানালেও উভয় দেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আলোচনার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?