সাত দশকের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ইংলিশ লিগ কাপের ফাইনালে শক্তিশালী লিভারপুলকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি।
১৯৫৫ সালে এফএ কাপ জয়ের পর দীর্ঘ ৭০ বছর বড় কোনো শিরোপার স্বাদ পায়নি নিউক্যাসল। ১৯৬৯ সালে ইন্টার-সিটিস ফেয়ার্স কাপ জেতার পর থেকে দলটি ছিল শিরোপা-খরায়। তবে ওয়েম্বলির ঐতিহাসিক ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাল নিউক্যাসল।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করেন ড্যান বার্ন, এগিয়ে যায় নিউক্যাসল। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে আলেক্সান্ডার ইসাকের গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে।লিভারপুলের হয়ে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ফেদেরিকো কিয়েসার গোল করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ক্লপের দল।শিরোপা উঁচিয়ে ধরে নিউক্যাসল অধিনায়ক ব্রুনো গিমারেস বলেন,"এতদিনের অপেক্ষার পর চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এটি আমার জীবনের সেরা দিন। সমর্থকদের জন্যও এটি বিশ্বকাপ জয়ের মতো।"
চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়ার পর লিগ কাপের ফাইনালেও হার। এখন লিভারপুলের সামনে একমাত্র লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। গতরাতের আগে ইংলিশ ফুটবলে ১৯৫৫ সালে সবশেষ শিরোপা জিতেছিল নিউক্যাসল। সেবার ঘরে তুলেছিল এফএ কাপ। আর ১৯৬৯ সালে অধুনালুপ্ত মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট ইন্টার-সিটিস ফেয়ার্স কাপ শিরোপা ছিল তাদের সবশেষ বড় শিরোপা। সেটিও হয়ে গেছে ৫৬ বছর। এবার সেই খরা কাটাল ওয়েম্বলির ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে।
লিগ কাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরে নিউক্যাসল অধিনায়ক ব্রুনো গিমারেস গর্বিত কণ্ঠে বললেন, ‘আবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন।’ এত এত অপেক্ষার পর ভক্তদের শিরোপা জয়ের যে স্বাদ তা অনুভব করতে পারছেন নিউক্যাসল অধিনায়ক। ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার জীবনের সেরা দিন। আর তাদের (সমর্থকদের) কাছে এটা তো বিশ্বকাপের মতো। মানুষ (যারা ছোট ছিল) বড় হয়ে গেছে, কিন্তু আমাদের চ্যাম্পিয়ন রূপে দেখেনি। এই ক্লাবে অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম বছর এবং এটা আমার সেরা দিনগুলোর একটি।
মৌসুমের শুরু থেকে দারুণ ছন্দে ছুটে চলা লিভারপুল গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়ার পর লিগ কাপও হারাল নিউক্যালের কাছে। লিভারপুলের কাছে এখন টিকে আছে শুধু প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা–স্বপ্ন।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?