নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে স্পেনের ফরোয়ার্ড জেনিফার এরমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দেওয়ার ঘটনায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। স্পেনের হাই কোর্ট তাকে ১০ হাজার ইউরোর বেশি জরিমানা করেছে, তবে বলপ্রয়োগের অভিযোগ থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন।
মামলায় ৪৭ বছর বয়সী রুবিয়ালেসের কারাদণ্ড চেয়েছিল স্পেনের সরকারি কৌঁসুলিরা। তবে আদালত তাকে প্রতি দিন ২০ ইউরো করে ১৮ মাসের জন্য জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া,রুবিয়ালেসকে এরমোসোর ২০০ মিটারের মধ্যে যেতে নিষেধ করা হয়েছে,এক বছরের জন্য এরমোসোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রুবিয়ালেস দাবি করেছিলেন, চুম্বনে এরমোসোর সম্মতি ছিল। তবে এরমোসো শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছেন।রুবিয়ালেসের সঙ্গে স্প্যানিশ ফেডারেশনের আরও তিন সাবেক সদস্যও বলপ্রয়োগের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তারা হলেন—হোর্হে ভিলদা (মেয়েদের বিশ্বকাপজয়ী কোচ), আলবার্ত লুকি (ছেলেদের দলের ক্রীড়া পরিচালক), রুবেন রিভেরা (ফেডারেশনের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান) ।
২০২৩ সালের নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে সিডনিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে স্পেন চ্যাম্পিয়ন হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রুবিয়ালেস দলের সব ফুটবলারকে আলিঙ্গন করেন এবং অনেককে গালে ও কপালে চুমু দেন। তবে এরমোসোকে কিছুটা সময় ধরে রেখে দুহাত দিয়ে মাথা ধরে ঠোঁটে চুমু দেন তিনি।
ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রথমে রুবিয়ালেস সমালোচকদের ‘ইডিয়ট’ বলে মন্তব্য করেন, পরে দুঃখ প্রকাশ করলেও পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানান। তবে চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সভাপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
এরমোসো পরে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেন। ফিফা প্রথমে তাকে ৯০ দিনের জন্য সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়।পরে ফিফার শৃঙ্খলাবিধির ১৩ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের কারণে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।
এই রায় নারী ফুটবলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল, যেখানে সম্মতি ছাড়া কোনো আচরণকে আর সহজভাবে নেওয়া হবে না।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?