clock ,

টঙ্গীর বস্তিতে সেনাবাহিনীর অভিযান: গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে পালালো অপরাধীরা

টঙ্গীর বস্তিতে সেনাবাহিনীর অভিযান: গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে পালালো অপরাধীরা

গাজীপুরের টঙ্গীতে ভয়ঙ্কর এক চিত্র উঠে এসেছে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে।অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় ছিল বস্তির প্রতিটি ঘরে গোপনে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব!

শনিবার ( মার্চ) রাতে টঙ্গীর এই বস্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ্যাব, বিজিবি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লক্ষ্য করেনবস্তির ঘরগুলোতে বিশেষ কাঠামো রয়েছে, যা মূলত পালানোর জন্য তৈরি। প্রতিটি কক্ষে এমনভাবে সুড়ঙ্গ তৈরি যে, অপরাধীরা সহজেই অন্যদিকে বেরিয়ে যেতে পারে। সুড়ঙ্গের কাঠামো এতটাই পরিকল্পিত যে, কেউ একবার পালিয়ে গেলে অন্য পাশ থেকে দরজা বন্ধ করা সম্ভব, ফলে ধরা পড়া কঠিন হয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি অন্যান্য অপরাধের আড়ালে এই বিশেষ কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।

অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক, দেশীয় অস্ত্র এবং সন্দেহভাজন অপরাধীদের তালিকা পাওয়া গেছে। অভিযান শুরুর আগে সংবাদ পেয়ে অনেক অপরাধী গোপন সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে পালিয়ে গেলেও প্রায় ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মাদক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রশাসনের বক্তব্য

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেনদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা যৌথ বাহিনী নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেছি। মাজার বস্তি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীরা সক্রিয় ছিল। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। যদিও অনেক অপরাধী সুড়ঙ্গের মাধ্যমে পালিয়ে গেছে, আমরা ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বস্তির ভয়ঙ্কর বাস্তবতা

বিশ্লেষকদের মতে, টঙ্গীর এই বস্তিতে কেবল সাধারণ বসবাসকারী মানুষই নয়, দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র গোপনে সক্রিয় ছিল। এই সুড়ঙ্গ ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা সহজেই পালিয়ে যেতে পারত, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে, তবে এটি স্পষ্ট যে, টঙ্গীর এই বস্তিতে যে অপরাধের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল, তা ছিল অত্যন্ত সুসংগঠিত পরিকল্পিত। সেনাবাহিনীর এই অভিযান হয়তো প্রথম ধাপ, তবে অপরাধ নির্মূলের জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য