জার্মানির সিডিইউ/সিএসইউ এবং এসপিডি দল একত্রে সরকার গঠন করার পর, তারা অভিবাসন নীতি কঠোর করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। সিডিইউ/সিএসইউ নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আমরা সিডিইউ/সিএসইউ এবং এসপিডির মধ্যে আলোচনা শেষ করেছি এবং একটি যৌথ গবেষণামূলক নথি তৈরি করেছি।”
জার্মানির সম্ভাব্য নতুন চ্যান্সেলর আরও বলেছেন, আলোচনা চলাকালীন অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে দেশটির সীমান্ত বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্তেও অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর জন্য সব সাংবিধানিক উদ্যোগ নিতে চাই। আমাদের জোট সরকার প্রথম থেকেই জার্মানির সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যাপকভাবে বাড়াবে।”
এছাড়া, অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ডাবলিন চুক্তি অনুযায়ী তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। এই চুক্তির আওতায়, আশ্রয়প্রার্থীকে প্রথম যে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রে পৌঁছায়, সেখানে আশ্রয়ের আবেদন করতে হয়। সুতরাং, জার্মানির সরকার এই পরিকল্পনা অনুসরণ করবে।
মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তানের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য সরকারী কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
অস্ট্রিয়া এ ব্যাপারে অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, বিশেষ করে আশ্রয়প্রার্থীদের পারিবারিক পুনর্মিলন বন্ধ করা এবং অনিয়মিত অভিবাসন সীমিত করার বিষয়ে।
এদিকে, ১২ মার্চ ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা করেছে যে, তারা অনিয়মিত অভিবাসীদের দ্রুত ডিপোর্ট করার জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রবর্তন করবে। এর মধ্যে ‘রিটার্ন হাব’ বা প্রত্যাবর্তন কেন্দ্র গঠন করা হবে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিকল্পনাকে কড়া সমালোচনা করেছে।কমিশন জানিয়েছে, বর্তমানে ইইউ দেশগুলোতে অনিয়মিত অভিবাসীদের ডিপোর্টের হার ২০ শতাংশেরও কম, এবং এটি বাড়ানোর জন্য এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?