শেয়ার করুন:

সুগন্ধি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ সরকার

দেশের উৎপাদন সক্ষমতা বিবেচনায় সুগন্ধি চাল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সুগন্ধি চালের উৎপাদন অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার চিন্তা করছে সরকার।

২০২৩ সালের অক্টোবরে সরকার সুগন্ধি চালসহ অন্যান্য চাল রফতানির ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে বাজার ধরে রাখার স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ চাল রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাকুল হোসেন সুইট জানান, "বর্তমানে চাল রফতানি এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে গত সপ্তাহে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে জানতে পেরেছি, সরকার নীতিগতভাবে অল্প পরিমাণে হলেও রফতানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"

তিনি আরও বলেন,"ভারতের 'গোবিন্দভোগ' নামের চাল অনেকটাই আমাদের কালিজিরার মতো। বাংলাদেশি কিছু বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ভারতে চাল মোড়কজাত করে বিভিন্ন দেশে রফতানি করছে। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। বিদেশে সুগন্ধি চাল কেনার সময় ভোক্তারা মনে করছেন এটি বাংলাদেশি চাল, যদিও সেটি ভারত থেকে রফতানি হচ্ছে।"

সরকার রফতানি বাজারের প্রতিযোগিতা এবং অভ্যন্তরীণ বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রত্যাশা, শিগগিরই সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে, যা কৃষক ও রফতানিকারকদের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।