Saturday, 15 February 2025, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

হার্ডলাইনে বিএনপি, ফেব্রুয়ারিতেই রাজপথে কর্মসূচি

হার্ডলাইনে বিএনপি, ফেব্রুয়ারিতেই রাজপথে কর্মসূচি

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলটি নতুন কর্মসূচি নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে সক্রিয় হতে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের ছয় মাস পর এবারই প্রথম বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে।

রমজান মাসের আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে এই কর্মসূচি চালানো হবে বলে গত সোমবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, দেশে ন্যূনতম রাজনৈতিক সংস্কার শেষে অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন এবং বিষয়ে তারা কোনো ছাড় দেবে না।

সরকারের আনুকূল্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের যে আলোচনা চলছে, সে বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন। যদিও নতুন দলের ব্যাপারে সরাসরি আপত্তি নেই বিএনপির, তবে তারা মনে করছে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠনের উদ্দেশ্য কী, তা স্পষ্ট করা দরকার।

দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে নিজেদের পক্ষে শক্তিশালী জনমত তৈরি করতে নতুনভাবে তৃণমূলে কাজ শুরু করছে। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠপর্যায়ে গণসংযোগ চালাবেন।

জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য . খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,"জনগণ চায়২০২৫ সালের মধ্যেই দেশে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র মৌলিক অধিকার ফিরে আসুক। আমরা মনে করি, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হলে, এই সরকার ছয় মাসের মধ্যে তা আয়োজন করতেও সক্ষম।"

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, "আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। শীতবস্ত্র বিতরণ, আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন, এবং রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি চালু রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।"

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, অপ্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব, নতুন দল গঠন রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করে নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা চলছে। সরকারের কিছু উপদেষ্টার বক্তব্য থেকেও নির্বাচন প্রলম্বিত করার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার একটিমাস্টারপ্ল্যাননিয়ে নির্বাচন দেরি করার চেষ্টায় আছে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, মুক্তিযুদ্ধই হবে বাংলাদেশের ভিত্তি,সত্তরের দশকের আদলে কোনোব্যাকডেটেডঘোষণাপত্র গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে শিগগিরই একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। নির্বাচন প্রলম্বিত হলে সংকট আরও গভীর হবে বলেই দলটির অভিমত।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং অন্যান্য স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

বিএনপি মনে করছে, নির্বাচন প্রশ্নে আর দেরি করা যাবে না। এজন্য তারা হার্ডলাইনে যাচ্ছে এবং ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে সক্রিয় হবে। দ্রব্যমূল্য, গণতন্ত্র, নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নির্বাচনী রোডম্যাপএসব ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে দলটি।

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য