clock ,

রমজানের প্রথম ১০ দিনে করণীয়

রমজানের প্রথম ১০ দিনে করণীয়

দ্বিতীয় হিজরিতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে মুসলিম উম্মতের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম দশক রহমতের, মধ্য দশক মাগফিরাতের আর শেষ দশক নাজাতের।

রমজানের প্রথম দশক আল্লাহর রহমতের সময়। এই সময়ে বান্দাদের জন্য তাঁর বিশেষ অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। তাই রমজানের এই প্রথম দশকে রোজাদারদের উচিত বেশি করে ইবাদত-বন্দেগি করা এবং পাপ থেকে দূরে থাকা।

রমজানের রহমতের দশকে করণীয়:
. একনিষ্ঠতার সঙ্গে রোজা পালন করা।
. জামাতে নামাজ আদায় করা।
. তারাবিহ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
. কোরআন তিলাওয়াত করা।
. দান-সদকা করা।
. ফিতরা জাকাত দেওয়া।
. আল্লাহর জিকির করা তাকওয়া অর্জনে সচেষ্ট হওয়া।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি মুসলিম)

রমজানের প্রথম রাতেই শয়তানকে শিকলবদ্ধ করা হয়, জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করা হয়। ফলে এই মাসে নেক কাজ করা সহজ হয়ে যায়।

রহমতের এই সময়ে করণীয় হলো আল্লাহর দয়া করুণাময় নামগুলো জানা, মুখস্থ করা এবং তা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা। আল্লাহর কিছু রহমতসূচক নাম হলো:

আর-রাহমান (অসীম দয়ালু)

আর-রাহিম (পরম করুণাময়)

আল-ওয়াদুদ (প্রেমময়)

আল-মুজিব (প্রার্থনা কবুলকারী)

আর-রাজ্জাক (রিজিক দানকারী)

আল-কারিম (অনুগ্রহকারী)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি জগতের মানুষের প্রতি দয়া করো, তবে আল্লাহও তোমার প্রতি দয়া করবেন।’ (বুখারি, মুসলিম তিরমিজি)

রমজানের প্রথম ১০ দিনে দয়া উদারতার গুণ অর্জন করে আমাদের আচরণে তা প্রকাশ করতে হবে, যেন আমরা আল্লাহর রহমত লাভ করতে পারি।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য