যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও আরবদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও হামলার ঘটনা ২০২৪ সালে রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (সিএআইআর) ১১ মার্চ (মঙ্গলবার) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সিএআইআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মুসলিম ও আরব বিদ্বেষমূলক ৮,৬৫৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও আরবদের প্রতি বৈষম্য এবং সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
সিএআইআর জানায়, ১৯৯৬ সাল থেকে তারা বিদ্বেষমূলক অভিযোগের তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে। ২০২৪ সালে বিদ্বেষের যে সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে, তা সংস্থার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য: ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ, অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত অভিযোগ: ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ, শিক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগ: ৯ দশমিক ৮ শতাংশ, ঘৃণামূলক হামলার অভিযোগ: ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
সিএআইআর-এর মতে, গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার সমর্থন দেওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম বিদ্বেষ আরও বেড়েছে।
১৮ মাস আগে ছয় বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সম্প্রতি ঘৃণামূলক অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। টেক্সাসে তিন বছর বয়সী ফিলিস্তিনি মেয়েকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা। ফ্লোরিডায় দুই ব্যক্তিকে ফিলিস্তিনি ভেবে গুলি করা হলেও তারা আসলে ইসরায়েলি নাগরিক ছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামফোবিয়া এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
সূত্র: আলজাজিরা
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?