মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদে চলছে ইমিগ্রেশনের সাঁড়াশি অভিযান। অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে রোববার (১৪-ে১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত পাঁচটি জেলায় রিফ্লেক্সোলজি সেন্টার এবং কোংসি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মোট ২৩৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। জোহর রাজ্যে টানা তিনদিন চলে সাঁড়াশি অভিযান। বেরিতা হারিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয় এ অভিযানে ২৩৫ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করে অভিবাসন বিভাগ। এ সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন ১১৩ জন বাংলাদেশি।
জোহর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর, দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস এক বিবৃতিতে বলেছেন যে গত ডিসেম্বরে স্বেচ্ছাসেবী পুনর্বিন্যাস কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর, তার বিভাগ আর নিয়োগকর্তা, প্রাঙ্গণের মালিক এবং অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ এবং সুরক্ষা প্রদানকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে আপস করবে না। প্রথম অভিযানে, গত শুক্রবার মধ্যরাতে পাঁচটি জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে ১৩০ জন বিদেশী এবং দুটি রিফ্লেক্সোলজি সেন্টারের নিয়োগকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথম একযোগে অভিযানে, জোহর বাহরুতে মোট ৯০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যেখানে ৯ জন অবৈধ অভিবাসী এবং দুজন নিয়োগকর্তা (বাতু পাহাত), ১২ জন অবৈধ অভিবাসী (মেরসিং এবং মুয়ার) এবং সেগামাতে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রথম অভিযানে ১৮টি কারখানা প্রাঙ্গণ এবং ভাগ করা আবাসন বসতির পাশাপাশি বাতু পাহাত, মার্সিং, মুয়ার এবং সেগামাতে ১৭টি রিফ্লেক্সোলজি কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়।
বাতু পাহাতে অভিযানে ৩২ এবং ৫৩ বছর বয়সি দুই স্থানীয় পুরুষ নিয়োগকর্তা, যারা একটি রিফ্লেক্সোলজি সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক এবং মালিক, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যখন পাঁচটি জেলায় গ্রেফতার হওয়া ১৩০ জন অবৈধ অভিবাসীর বয়স ২১ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।
গ্রেফতারকৃত অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা হল চারজন চীনা নারী, পাঁচজন থাই নারাী, ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ এবং ১৭ জন নারী, ছয়জন ভিয়েতনামী নারী, ২৩ জন মায়ানমার পুরুষ এবং পাঁচজন নারী, দুজন ভারতীয় পুরুষ, ৩৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ এবং ১৫ জন পাকিস্তানী পুরুষ রয়েছেন।
মোহাম্মদ রুসদি বলেন, সর্বশেষ রোববার রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অপারেশন সাপু চলাকালীন বাতু পাহাতের একটি শ্রমিক আবাসন কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে ১০৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযানে, ১৮ থেকে ৫৪ বছর বয়সী মোট ৩২৯ জন অভিবাসীর কাগজপত্র পরীক্ষারপর এদের মধ্য থেকে ১০৫ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন ৭৭ জন বাংলাদেশি।
বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়াই শেয়ার্ড হাউস বন্দোবস্তে বিদেশীরা বসবাস করছে বলে জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গ্রেফতার ২৩৫ অবৈধ অভিবাসীর সবাই ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন এবং ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের অধীনে অপরাধী। পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে গ্রেফতারদের পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?