বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। রূপা হকের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস জানান, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে—২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ অনেকটাই জনগণের সংস্কারের চাহিদার ওপর নির্ভরশীল।

ড. ইউনূস বলেন, “গত তিনটি নির্বাচনে জনগণ প্রকৃত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তখনকার সংসদ, এমপি এবং স্পিকার সবাই ভুয়া ছিলেন। এখন জনগণ তাদের প্রকৃত কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছে, যা এক সময় দমন করা হয়েছিল।” এ সময় রূপা হক বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আমি অনুপ্রাণিত।” তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আবার বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস রূপা হককে ব্যাখ্যা করেন, গত জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পেছনের কারণ। তিনি উল্লেখ করেন, জনগণ কেন তখন দমন-পীড়নের শিকার হয়েছিল।

এই সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রূপা হক যুক্তরাজ্যের একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এসময় তারা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকি, বিআইডিএ চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী এবং এসডিজি-সংক্রান্ত সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন।