নরসিংদীতে গর্ভবতী এক নারীকে তিনদিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গতকাল শনিবার (৮ মার্চ) রাতে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর অভিযুক্তদের মধ্যে ইকবাল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী কারাগারে রয়েছেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, তার স্বামীর জামিনে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে ইকবাল হোসেন তাকে পাঁচদোনা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি মার্কেটের কক্ষে আটকে রেখে ইকবাল তাকে ধর্ষণ করে। এরপর চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে পাপ্পু নামে এক ব্যক্তি ও আরও অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, তিনদিন ধরে তাকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে নরসিংদী পৌর শহরের গাবতলী এলাকায় ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় তারতীকুল কুরান মাদরাসার দারোয়ান সাইফুল ইসলামকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় গাবতলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এসময় স্থানীয় জনগণের হাতে গণধোলাইয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। খবর পেয়ে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান জানান, মাদ্রাসার একটি শিশু মাদ্রাসার ভেতরে থাকা একটি দোকান থেকে খাবার কিনতে যাওয়ার সময় দারোয়ান তাকে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ইফতারের পর বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমরা (পুলিশ) ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসি। এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?