প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ৯৯ দিনেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হয়েছে—যা অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ির এক নতুন রেকর্ড। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সীমান্ত সুরক্ষা উপদেষ্টা টম হোম্যান।
ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টম হোম্যান বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার ফলে বেআইনি অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এতে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও অনুপ্রবেশের প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে—এটাই আমাদের সাফল্য।”
এদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তিনটি নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো ‘স্যাঙ্কচুয়্যারি সিটি’ ও রাজ্যগুলোতে ফেডারেল অনুদানের তদারকি। আদেশ অনুযায়ী, এসব শহর ও রাজ্যগুলো অবৈধ অভিবাসী ধরপাকড়ে সহায়তা করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। অপরাধে দণ্ডিত অভিবাসীদের ফেডারেল অভিবাসন সংস্থা আইসের কাছে সমর্পণের বিষয়েও বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
আরেক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে, ফেডারেল পরিবহন বিভাগে নিয়োজিত ট্রাকচালকদের ইংরেজি জানতেই হবে। যারা আগে থেকেই নিয়োজিত কিন্তু ইংরেজি জানেন না, তাদের চাকরি হারাতে হতে পারে।
তৃতীয় আদেশে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে আরও বিস্তৃত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা অভিবাসন আইন বাস্তবায়নে ফেডারেল নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করতে পারে। পাশাপাশি যারা এসব নির্দেশ পালনে গড়িমসি করবে, তাদের বিরুদ্ধেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারলিন লেভিট এই পদক্ষেপগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় ‘অপরিহার্য অবলম্বন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “গুরুতর অপরাধে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে এই নির্বাহী আদেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এই পদক্ষেপগুলো ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে—বিশেষ করে মানবাধিকার, ভাষা বৈচিত্র্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?