হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও গায়িকা জেনিফার লোপেজ এবং অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেকের ২১ মাসের বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটেছে। তাদের দাম্পত্য জীবনের বিষয়ে নতুন কিছু তথ্য সামনে এসেছে, যেখানে জানা গেছে, লোপেজের সঙ্গে সংসার জীবনে অ্যাফ্লেক নিজেকে 'বঞ্চিত' মনে করতেন।
রিডার অনলাইন ডট কমের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বেন অ্যাফ্লেক 'নিয়ন্ত্রণকারী' জেনিফার লোপেজের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে সন্তুষ্ট, কারণ তিনি এখন নিজের পছন্দের জিনিসগুলো উপভোগ করতে পারছেন।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেন ম্যাকডোনাল্ডস, টাকো বেল, জ্যাক ইন দ্য বক্স এবং স্টারবাকস কফি ও মিষ্টান্ন ভালোবাসেন। তবে জেনিফারের সঙ্গে সম্পর্কের সময় তিনি এসব থেকে বিরত থাকতেন।
সূত্রটি আরও জানায়, জেনিফারের সঙ্গে থাকাকালে বেন তার প্রিয় খাবার, স্ন্যাকস ও সোডা থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু এখন, লোপেজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, তিনি আবারও তার পছন্দমতো খাবার খেতে এবং নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করতে পারছেন।
তবে খাবারই একমাত্র বিষয় নয়, যা এই বিচ্ছেদের পর বেনের জীবনে ফিরে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বেন তার প্রাক্তন স্ত্রী জেনিফার গার্নারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করছেন এবং আবারও ধূমপান শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেক চলতি বছরের শুরুর দিকে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত করেছেন। তবে লোপেজ ইতোমধ্যেই প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব কমানোর পরিকল্পনা করছেন। যদিও এই দম্পতির একসঙ্গে কোনো সন্তান নেই, তাদের পরিবারের পরিস্থিতির কারণেই তারা নিজেদের মধ্যে বন্ধন ধরে রাখছেন সন্তানদের স্বার্থে।
এছাড়া, বিচ্ছেদের পরও বেন অ্যাফ্লেকের দেওয়া ৫ মিলিয়ন ডলারের বাগদানের আংটি ফেরত দিতে নারাজ জেনিফার লোপেজ। আদালতের নথি অনুযায়ী, জেনিফার বাগদানে পাওয়া ৮.৫ ক্যারেটের সবুজ হীরার আংটি নিজের কাছেই রাখছেন। বেন অ্যাফ্লেক নাকি এই আংটিটি তাঁদের চূড়ান্ত বিবাহবিচ্ছেদ ও নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে প্রাক্তনকে উপহার দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে 'গিগলি' সিনেমার শুটিংয়ের সময় বেন ও জেনিফারের পরিচয় হয়। ২০০৩ সালে তাদের বাগদান হলেও পরের বছর তা ভেঙে যায়। প্রায় ১৯ বছর পর, ২০২২ সালে তারা পুনরায় সম্পর্কে জড়ান এবং বিয়ে করেন। তবে ২০২৪ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?