গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় উদ্বেগ ও নিন্দা বাংলাদেশের

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে চালানো হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। দেশটি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, "গাজায় চালানো এই বর্বরোচিত হামলায় নারী ও শিশুসহ বিপুলসংখ্যক নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলা ইতিমধ্যে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যে থাকা এই অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।"

বাংলাদেশের সরকার এই সহিংসতাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি এটি যুদ্ধবিরতির প্রতি ইসরায়েলের চরম অবহেলারও প্রমাণ বলে উল্লেখ করেছে।

ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে চালানো বিমান হামলার কঠোর সমালোচনা করে বাংলাদেশ, এই হামলাকে মানবিক দুর্ভোগ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, "অরক্ষিত ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর এই ধ্বংসাত্মক হামলা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা সৃষ্টি করছে।"

বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সকল সামরিক অভিযান বন্ধ করতে, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করতে আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘকে গাজার নিরীহ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছে,"বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা করতে, শত্রুতা বন্ধ করতে এবং অবরুদ্ধ গাজার জনগণকে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ ভূমিকা প্রয়োজন।"

বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনের জনগণের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের ন্যায্য অধিকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। দেশটি মনে করে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে নতুন করে সংলাপ শুরু করা জরুরি।

বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাস করে, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধানে কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়কেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তাই, বাংলাদেশ সমস্ত পক্ষকে সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে এবং এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে।