করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ নির্দেশনা

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন করে ১০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ১০৭টি নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল পাওয়া গেছে, যা শনাক্তের হার ৯.৩৫ শতাংশ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়েছেন এবং গতকাল করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশে নতুন একটি করোনা উপধরনের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে।

গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বেড়েছে এবং নতুন কয়েকটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক যাত্রীদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে আইএইচআর ডেস্কগুলোতে নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—

·         জনসমাগম যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা

·         প্রয়োজনীয় হলে মাস্ক ব্যবহার

·         শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্তরা নিয়মিত মাস্ক পরা

·         হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ কনুই বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখা

·         ব্যবহৃত টিস্যু দ্রুত ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলা

·         ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া

·         অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ এড়িয়ে চলা

·         সংক্রমিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব রাখা

·         অসুস্থ হলে নিজে নিজে ঘরে থাকা এবং মারাত্মক অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

·         আক্রান্ত রোগীরা মাস্ক পরবে এবং চিকিৎসাসেবা প্রদানকারীরাও মাস্ক পরবে

প্রয়োজনে হাসপাতালে যোগাযোগের জন্য আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর ০১৪০১১৯৬২৯৩ এবং স্বাস্থ্য বাতায়নের নম্বর ১৬২৬৩ ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।