clock ,

ঈদের একগুচছ কবিতা

ঈদের একগুচছ কবিতা

ঈদের জামা

মাসুদ রানা 

 

বাবার কেনা ঈদের জামা

ধরতাম কত বায়না

বাবা আমার বলত খোকা 

আমার বুকে আয়না। 

 

বাবা মায়ের আদর খোকা 

ছিলাম শিশু কালে

বাবা মায়ের খুশি রাখত 

সারাক্ষণ নেচ খেলে। 

 

ঈদের খুশি বয়ে আনে 

পরিবার আপন জন,

বাবার সাথে ঈদগাহে যাব 

যেতাম আনন্দে মন। 

 

বাবা আমার কষ্টে করে 

রাখত খুশি আমার

পরিবারের বুঝতে দিতনা

কষ্টে হলে বাবার। 

 

মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে যে

ছিলো উপার্জন তার,

নিজে না খেয়ে খোকা ভাল

সারাক্ষণ চিন্তা আর। 


বাবা আমার খুশি হয়তো 

খোকার জামা দিয়ে

বাবার মুখে থাকত কথা

খোকা বুকে নিয়ে। 


ঈদের চাঁদ

নার্গিস আক্তার

 

সিয়াম সাধন হলো একমাস

গগনে উঠলো চাঁদ,

সবার মনে আনন্দ কি বয়?

মন আমার আধার চাঁদ।

 

দুঃখ বয় গরিবের বার মাস

সুখ যে তাঁর সয়না

টাকা-পয়সার অভাব বার মাস

ঈদ তাঁর কথা কয়না।

 

ঈদ শুধু বড়লোকের জন্য

গরিবের জন্য নয়,

গরিব যে শুধু কষ্ট পায়

ঈদটা তাঁদের নয়।

 

বঞ্চনারই ঈদ

শ্যামল বণিক অঞ্জন 

ভাঙা চালা শূণ্য থালা জীর্ণ কুঁড়ে ঘর,

হেলাফেলা অবহেলায় চলে জনমভর 

পায় না আহার রঙের বাহার নয়া জুতা জামা

অনাহারে অর্ধাহারে চলাই জীবননামা। 

 খুশির ধারায় সবাই হারায় ঈদটা এলে পরে

উৎসবটা দেয় না শুধু উঁকি ওদের ঘরে।

ঈদের দিনেও থাকে ওদের জীর্ণ মলিন বেশ

ছিন্নমূলে ভিন্ন ফুলে বঞ্চনারই রেশ!

 

ঈদের চাঁদ

সুশান্ত কুমার দে 

 

নীলাকাশের এক কোণে

শাওয়াল এল সঙ্গোপণে,

ওই দেখা যায় ঈদের চাঁদ

ভাঙল সবার খুশির বাঁধ!

 

ঈদের চাঁদ, ঈদের চাঁদ

সৌন্দর্যের তার নাই খাদ!

বাঁকা চাঁদের কিরণ আহ্ 

কী যে অপরূপ! বাহ্ বাহ্!

 

চারিদিক এল, খুশির ঈদ

খোকা খুকির ভাঙল নিদ,

ঈদ এসেছে, ঈদ এসেছে 

খুশির হাওয়া যায় ভেসে।

 

বস্তিবাসীর জীর্ণ -কুটিরে

শীর্ণকায় ওই মানুষটিরে,

একটা নতুন বস্ত্র বিতরণ

করো, হে ধনী, মহাজন।

 

খুকুমণির ঈদ

শারমিন নাহার ঝর্ণা

খুকুমণি ঈদের দিনে
পরবে নতুন জামা,
নতুন জামা কিনে দিলো
খুকুমণির মামা।

নতুন জামা পরে খুকু
হেসে কুটিকুটি,
হাতে পরে রঙির চুড়ি
মাথায় ফুলের ঝুঁটি।

রঙিন জুতা পরে খুকু
আস্তে আস্তে হাঁটে,
বাবার সাথে যায় যে খুকু
হেসে ঈদের মাঠে।



খুশির চাঁদ 

জাহাঙ্গীর চৌধুরী 

 

রমজান শেষে চাঁদ উঠেছে 

বাঁশ বাগানের উপর। 

চাঁদের জোছনায় পুলকিত আজ

মুসলিম জাতির অন্তর। 

 

চাঁদের আকার নয় গোলাকার 

দেখতে কাঁচির মতো। 

চাঁদ ধরায় বছর সেরা 

খুশির জন্য খ্যাত। 

 

ছেলে বুড়ো সবাই হেরি

আনন্দের ঢেউ তোলে 

ফেতরা জকাত আদায় করতে 

যেওনা ভাই ভুলে। 

 

নামাজ পড়ে কোলাকুলি 

সবাই করবে মিলি।

গরীব ধনীর দেয়াল ভেঙে 

সব ভেদাভেদ ভুলি।

 

কোরমা পোলাও সকল কিছু 

খাবে সমান ভাগে। 

গরীব যারা তাদের পাতে

দিবে সবার আগে।



ঈদের খুশি

লুৎফুর রহমান চৌধুরী

 

ঈদের খুশি লেগেছে আজ

আমার ছোট্ট গাঁয়ে

মাঝি ভাই গান গেয়ে যাচ্ছে

পাল তুলে যে নায়ে।

 

খোকা নাচে খুকি নাচে

নতুন জামা পেয়ে

ছোট্ট শিশু তাকিয়ে রয়

জামার দিকে চেয়ে।

 

শিশুর মুখে মিষ্টি হাসি

নতুন জামা পাবে.

ঈদের দিনে ঈদগাহ সেতো

জামাত পড়তে যাবে।

 

জামাত শেষে বাড়ি এসে

খাবে মিষ্টি পিঠা.

মায়ের হাতের পিঠা খেয়ে

পাবে বেশি মিঠা।

 

শুভ বিকেল ফিরে আসলে

খোকা খুকি বলে.

আনন্দটা করে তবে

দিনটা যাবে চলে।

 


You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য