যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা জারি অব্যাহত রাখতে এবং চুম্বক ও বিরল খনিজের সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি নতুন বাণিজ্য কাঠামোতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বুধবার রাতে লন্ডনে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য জানান।
ট্রাম্প জানান, চীনের সঙ্গে একটি "চুক্তি কাঠামো" হয়েছে, যা উভয় দেশের জন্য “দুর্দান্ত” হবে। তবে এখনো এটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে রূপ নেয়নি এবং দুই দেশের প্রেসিডেন্টদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর সর্বমোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারবে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ কাঠামোগত, ২০ শতাংশ ফেন্টানিল পাচারবিরোধী এবং পূর্বঘোষিত ২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।
বাণিজ্য কাঠামোর বিষয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও ট্রাম্প বলেন, তিনি এবং শি জিনপিং মার্কিন বাজার চীনের জন্য উন্মুক্ত করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন।
চুক্তির আলোচনায় ছিলেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লুটনিক এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। চীনা পক্ষের নেতৃত্ব দেন ভাইস প্রিমিয়ার হি লাইফেং।
এদিকে, মানবাধিকার সংস্থা গ্লোবাল রাইটস কমপ্লায়েন্স জানিয়েছে, অ্যাভন, ওয়ালমার্ট, নেসক্যাফে ও কোকা-কোলাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জিনজিয়াং থেকে টাইটানিয়াম সংগ্রহ করছে, যেখানে জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগ রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সম্পর্কোন্নয়নের বার্তা দেওয়া হলেও দ্বন্দ্ব এখনও পুরোপুরি কাটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা একে “ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি” বলে মন্তব্য করেছেন।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?