🔹 ২০০৯ সালের ২৬
অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি দায়ের
করে দুদক।
🔹 ২০১০
সালের ৬ জুলাই তারেক
রহমান ও গিয়াস উদ্দিন
আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র
(চার্জশিট) দাখিল করা হয়।
🔹 ২০১১
সালের ৮ আগস্ট তাদের
বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়।
🔹 ২০২৩
সালের ১০ ডিসেম্বর মামুনের
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আপিলের
অনুমতি দেয় এবং একই
সঙ্গে দণ্ড স্থগিত করা
হয়।
সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।
গত মঙ্গলবার আপিলের ওপর শুনানি শেষ হওয়ার পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
মামলার প্রধান অভিযোগ
মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা দেন। সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুন এই অর্থ জমা করেন, যার মধ্যে তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক রহমান খরচ করেন।
সাক্ষ্য ও তদন্ত
মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই (FBI)-এর এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট, যিনি চার্জশিটের বাইরের সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আপিল বিভাগের রায়ে তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থ পাচার মামলায় খালাস দেওয়া হয়েছে।দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় বিএনপির জন্য একটি বড় জয় বলে বিবেচিত হচ্ছে। দুদক এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?