"মুসলিম বিশ্বের ঐক্য নস্যাৎ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল": সৌদি যুবরাজকে ফোনে ইরানি প্রেসিডেন্ট

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে তৎপর, অথচ ইরান আঞ্চলিক ঐক্য এবং শান্তির পথে অটলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (২৪ জুন) সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এক টেলিফোন সংলাপে এই মন্তব্য করেন পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ওয়াশিংটন ও তেল আবিব ফিলিস্তিনি অধিকার ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার মতো অভিন্ন স্বার্থে মুসলিমদের মধ্যে সহযোগিতা রোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “তেহরান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সবসময় ন্যায্য অধিকার নিয়ে কথা বলবে। ইরান তার শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি এবং বৈধ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।”

ফোনালাপে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানান, “সৌদি আরব শুরু থেকেই ইসরায়েলের ইরানের ওপর চালানো বেআইনি আগ্রাসনের কঠোর নিন্দা জানিয়ে এসেছে।” তিনি বলেন, “আমরা ইসরায়েলকে চাপ দিতে ও হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।”

তিনি দৃঢ় ভাষায় জানান, “এই অঞ্চলের কোনো মুসলিম দেশ কখনোই ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের জন্য লঞ্চ প্যাড হিসেবে কাজ করবে না। আমাদের ভূখণ্ড আমেরিকান ঘাঁটিগুলোর মাধ্যমে আগ্রাসনের কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।”

এই ফোনালাপ এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন মার্কিন যুদ্ধবিমান তিনটি ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর একদিন পর কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার বিষয়েও সৌদি যুবরাজ অবগত আছেন বলে জানান।