নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি পল্টন থেকে বিজয়নগরের দিকে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
জুমার নামাজের পরপরই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে সংগঠনটির সমর্থকরা জড়ো হয়ে ‘মুক্তির একপথ, খিলাফত খিলাফত’ স্লোগান দিতে শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলেও তারা এগিয়ে যায় এবং পল্টন মোড় অতিক্রম করে বিজয়নগর পানির পাম্প মোড় প্রদক্ষিণ করে। সেখানে পুলিশ টিয়ারশেল ছোড়ে, তবে তাতে মিছিল থামেনি। মিছিলটি পল্টন ময়দানে গেলে পুলিশ আরও তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, ফলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীও পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় এবং বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়।
রমনা বিভাগের পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লিদের উপস্থিতির কারণে সেখানে হিযবুত তাহরীরকে বাধা দেওয়া হয়নি, তবে পুরানা পল্টন ও বিজয়নগরে তাদের প্রতিরোধ করা হয়।
২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে সংগঠনটি প্রকাশ্যে সক্রিয় হতে শুরু করে। আজ শুক্রবার তারা রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচি ঘোষণা করে, যা প্রচারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিষেধাজ্ঞা জারি করে জানায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধ সংগঠনের যেকোনো প্রচারণা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ ঘটনায় রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে হিযবুত তাহরীরের তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?