clock ,

শেখ হাসিনাসহ ১২ পলাতক নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন

শেখ হাসিনাসহ ১২ পলাতক নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ১২ সাবেক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। দেশের বাইরে অবস্থানরত এসব পলাতক ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পৃথক তিন ধাপে এ আবেদন করা হয়েছে।

জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ চাওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আ ক ম মোজাম্মেল হক, হাছান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিবুল হাসান চৌধুরী, শেখ ফজলে নূর তাপস, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নসরুল হামিদ, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, বেনজীর আহমেদ এবং শেখ হাসিনা।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, আদালত, রাষ্ট্রপক্ষ কিংবা তদন্ত সংস্থার সুপারিশের ভিত্তিতে পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলে এসব আবেদন করেছে।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের অভিযোগে রেড নোটিশ চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনাসহ বাকিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে প্রমাণসহ আবেদন পাঠানো হয়েছে। শেখ হাসিনার বিষয়ে রেড অ্যালার্টের অনুরোধ করা হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরে, আর বেনজীরের বিষয়ে আবেদন করা হয় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

শেখ হাসিনা ও বেনজীর আহমেদ ছাড়া বাকি ১০ জনের জন্য গত ১০ এপ্রিল ইন্টারপোলে আবেদন জমা দেয় এনসিবি। এসব আবেদনের আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সুপারিশ পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে।

সরকার সূত্র জানায়, ইন্টারপোল ছাড়াও ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সেই চুক্তির আওতায় পলাতকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে তিনটি মামলা চলমান। এর মধ্যে রয়েছে—গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ; ২০১৩ সালে হেফাজত কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন; এবং গত দেড় দশকে গুম-খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা।

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের তথ্য অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামীকাল (রবিবার) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য