লন্ডনে
দুই শয্যাকক্ষের একটি ফ্ল্যাট উপহার
পাওয়া নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে
যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি-বিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবি জোরদার হয়েছে।
এই বিতর্কে তিনি মন্ত্রিত্ব হারানোর
ঝুঁকিতে রয়েছেন।
রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল ও তার
সহযোগী মেইল অন সানডে
জানিয়েছে, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার
৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের
ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশি এক ডেভেলপারের মালিকানাধীন,
যিনি শেখ হাসিনার পরিচিত।
টিউলিপ সিদ্দিক এ ফ্ল্যাট উপহার
পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন,
এটি তার বাবা-মা
কিনে দিয়েছেন।
টিউলিপ
মেইল অন সানডে পত্রিকার
বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার
হুমকি দিয়েছেন। তবে মেইল অন
সানডে সূত্রে জানা যায়, লেবার
পার্টির অভ্যন্তরীণ কয়েকজন নিশ্চিত করেছেন, ফ্ল্যাটটি একজন ডেভেলপার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ
তাকে উপহার দিয়েছেন।
৪২ বছর বয়সী টিউলিপ
যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বে আছেন। তবে বাংলাদেশে তার
পরিবারের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩.৯
বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ টরি এমপিরা টিউলিপের
পদত্যাগ দাবি করেছেন।
বব ব্ল্যাকম্যান (হ্যারো ইস্টের টরি এমপি) বলেন, "টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। যদি তিনি তা না করেন, তবে মন্ত্রী হিসেবে তার অবস্থান গ্রহণযোগ্য নয়।" ম্যাট ভিকার্স (ছায়ামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) মন্তব্য করেন, "সরকারি দুর্নীতি-বিরোধী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আরও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।" বেন ওবেস-জেকটি (হান্টিংডনের টরি এমপি) বলেছেন, "ফ্ল্যাট কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া নিয়ে টিউলিপের দাবি স্পষ্ট নয়। আরও ব্যাখ্যা প্রয়োজন।"
ফ্ল্যাট
ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য
লন্ডনের ভূমি রেজিস্ট্রি রেকর্ডে
দেখা যায়, ২০০৪ সালে
তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটির একক
মালিক হন টিউলিপ। তখন
তিনি সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ
করেছিলেন এবং তার কোনো
আয় ছিল না। রেকর্ডে
মর্টগেজ বা ক্রয়মূল্যের তথ্য
নেই, যা ফ্ল্যাটটি উপহার
পাওয়া বা হস্তান্তরের ইঙ্গিত
দেয়।
লেবার
পার্টির বক্তব্য
লেবার পার্টির একাধিক সূত্র দাবি করেছে, টিউলিপের
বাবা-মা পারিবারিক বাড়ি
বিক্রির অর্থে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। তবে মেইল অন
সানডে ২০২২ সালে এই
দাবি যাচাই করে কোনো পারিবারিক
বাড়ি বিক্রির প্রমাণ পায়নি।
ফ্ল্যাট কেনা বা উপহার
পাওয়া নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে
টিউলিপ সিদ্দিকের অবস্থান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। লেবার
পার্টি ও টিউলিপের ব্যাখ্যা
সত্ত্বেও বিতর্কের সমাধান হয়নি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে মন্ত্রী পদ
ধরে রাখা তার জন্য
কঠিন হয়ে উঠবে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?