ভারত-অস্ট্রেলিয়ার যৌথ প্রযোজনায় ‘হিন্দি ভিন্দি’ এ তিন বাংলাদেশি

অস্ট্রেলিয়ার প্রেক্ষাগৃহে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমা ‘হিন্দি ভিন্দি’। সিনেমায় অস্ট্রেলিয়ান তরুণী রিহানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী রুপন্তী আকিদ। এই সিনেমার ভিজ্যুয়াল আর্ট ও পোস্টার ডিজাইন করেছেন বাংলাদেশের সাজ্জাদুল ইসলাম সায়ীম, এবং সিনেমার পরিবেশনার দায়িত্ব পালন করেছেন তানিম আল মিনারুল মান্নান, যিনি পরিবেশনা সংস্থা বঙ্গজ ফিল্মসের প্রতিষ্ঠাতা।

সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছেন রুপন্তী আকিদ। সিডনিতে সিনেমার একটি শো-তে উপস্থিত ছিলেন তিনি এবং গ্লিটজকে জানিয়েছেন, "খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি, সিনেমার শো শেষে অনেকে এসে ভালোবাসা দিচ্ছেন। বলছেন সিনেমার গল্প তাদের হৃদয়স্পর্শ করেছে, আর আমার রিহানা চরিত্রের সঙ্গে তারা নিজেদের জীবনকে কানেক্ট করতে পারছেন।"

‘হিন্দি ভিন্দি’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা, তরুণ অভিনেতা মিহির আহুজা, এবং অজি সংগীতশিল্পী গাই সেবাস্টিয়ান। এই সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে পা রেখেছেন সংগীতশিল্পী গাই সেবাস্টিয়ান। সিনেমার পুরো দৃশ্যধারণ অস্ট্রেলিয়ায় হয়েছে এবং রুপন্তী জানাচ্ছেন, "ভারতের নীনা গুপ্তা ও মিহির আহুজার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। সিনেমার কাস্টিংয়ের সময় অনেকেই আমাকে নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু মুক্তির পর সবাই চমকে গেছে, এবং প্রশংসা পাচ্ছি।"

‘হিন্দি ভিন্দি’-র পরিবেশনার দায়িত্বে থাকা তানিম আল মিনারুল মান্নান গ্লিটজকে বলেন, “এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সিনেমার নির্মাতা আলী সায়েদের সঙ্গে আমার পরিচয় দক্ষিণ এশীয় ফিল্ম ফেস্টিভালে হয়েছিল এবং তার কাছ থেকে সিনেমার গল্প শুনে আমি মুগ্ধ হই। এ ধরনের কালচারাল সিনেমা আমাকে খুব আকর্ষণ করে।”

‘হিন্দি ভিন্দি’ সিনেমায় কাবির নামের এক কিশোর সংগীতশিল্পীর গল্প উঠে এসেছে, যে তার বাবার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। একদিন তার দাদী তাকে খুঁজতে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসে এবং কাবির তার দাদীর সাংস্কৃতিক পরিচয় খুঁজতে হিন্দি শেখার চেষ্টা করে। সিনেমায় কাবিরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিহির আহুজা, রিহানা চরিত্রে রুপন্তী আকিদ, নানীর চরিত্রে নীনা গুপ্তা এবং বাবার চরিত্রে গাই সেবাস্টিয়ান।

সিনেমাটি অস্ট্রেলিয়ার ৪০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এবং দর্শকদের মধ্যে আন্তঃসাংস্কৃতিক একতা ও ভালোবাসার অনুভূতি তৈরি করেছে।