clock ,

বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে ও কমছে

বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে ও কমছে

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আজ সোমবার উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। অর্থ উপদেষ্টা . সালেহউদ্দিন আহমেদ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। প্রতিবারের মতো এবারও বাজেটে কিছু পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যার ফলে সেগুলোর দাম বাড়তে পারে। অন্যদিকে, কিছু খাতে করছাড় ভর্তুকির ফলে কিছু পণ্যের দাম কমে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে।

প্লাস্টিকজাত হোম কিচেন ওয়্যারসহ নানা প্লাস্টিক পণ্যে ভ্যাট দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। হেলিকপ্টার আমদানিতে শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকছে। এতে শুল্ক, ভ্যাট, অগ্রিম কর অগ্রিম আয়কর মিলিয়ে হেলিকপ্টার ব্যবহারের ব্যয় বাড়বে। কনভেনশন হল কনফারেন্স সেন্টারের সেবায় উৎসে কর শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকায় বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের খরচও বাড়তে পারে।

একাধিক গাড়ির মালিকদের জন্য পরিবেশ সুরচার্জের হার বাড়িয়ে সর্বোচ্চ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার চিন্তা রয়েছে, যা বর্তমানে ২৫ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ধার্য আছে। রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার এসিতে ভ্যাট সাড়ে শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, মোবাইল ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ভ্যাট শতাংশ থেকে শতাংশ করা হতে পারে। এলপিজি সিলিন্ডারে ১০ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব থাকছে। সিমেন্টশিট, ফেরো ম্যাঙ্গানিজ, ফেরো সিলিকো ম্যাঙ্গানিজ ফেরো সিলিকন অ্যালয়ের উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। একইভাবে, লিফট উৎপাদনে নির্মাণ সেবায় ভ্যাট বাড়ানো হতে পারে।

ব্লেন্ডার, জুসার, গ্রাইন্ডার, রাইস কুকার, আয়রনসহ নানা গৃহস্থালী পণ্যে শতাংশ হারে নতুন করে ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব আসতে পারে। ফোর স্ট্রোক থ্রি হুইলারে ভ্যাট সাড়ে শতাংশ এবং কটন সুতা কৃত্রিম আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি ইয়ার্ন উৎপাদনে ভ্যাট বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা রয়েছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের উৎসে কর অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব রয়েছে, যার ফলে চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেলসহ কৃষিপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। যাত্রীসেবা বাড়াতে ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাস আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে শতাংশে নামিয়ে আনার চিন্তা রয়েছে, এতে বাসের দাম কমতে পারে।

সুপারির খোল দিয়ে তৈরি তৈজসপত্র হাতে তৈরি মাটির পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতির পরিকল্পনা রয়েছে। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, সব ধরনের ফল এবং স্থানীয় ঋণপত্রে উৎসে কর শতাংশ থেকে কমিয়ে .৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।এলএনজি আমদানিতে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট শতাংশ অগ্রিম কর অব্যাহতি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, যাতে বিদ্যুৎ, শিল্প পরিবহন খাতে খরচ কমে আসে। স্যানিটারি ন্যাপকিন, তরল দুধ, পলিপ্রোপাইলিন স্ট্যাপল ফাইবারে ভ্যাট ছাড়ের পাশাপাশি -বাইকের উৎপাদন উপকরণ আমদানি এবং ফ্রিজ-এসির কম্প্রেসার উৎপাদনের উপকরণে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব আসতে পারে। বিদ্যুৎ ক্রয়, বিদেশি ক্রেতার এজেন্ট কমিশন, জমি ফ্ল্যাটের নিবন্ধন খরচ উৎসে কর কমানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। রিটার্ন দাখিলে জটিলতা কমিয়ে ৩৯টি সেবার মধ্যে ১২টিতে কেবল টিআইএন দাখিল করলেই চলবেএমন প্রস্তাব আসছে এবারের বাজেট প্রস্তাবনায়।

সামগ্রিকভাবে, নতুন বাজেটে কর কাঠামোর পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে ভোক্তা জীবন, বাজার এবং শিল্প-ব্যবসায়িক খাতে। সংসদে উপস্থাপিত হওয়ার পর বাজেট প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে আগামী দিনে।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য