ধর্ষণ মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ: আইনজীবীদের কাছে শিক্ষার্থীদের ক্ষমা প্রার্থনা

জামালপুরে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনায় আটজন সাধারণ শিক্ষার্থী ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আইনজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিশাদ রেজওয়ান বাবু, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস, সদস্যসচিব আবিদ সৌরভ, শিক্ষার্থী ওয়াসিমুল সামী, ওয়াকিলসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

গত ১০ মার্চ একটি ধর্ষণ মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার সাথে জড়িত আটজন সাধারণ শিক্ষার্থী আদালত প্রাঙ্গণে হামলার বিষয়ে ভুল স্বীকার করে এবং আইনজীবীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে তারা আইনজীবীদের সাথে করমর্দন করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস জানান, “হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ জড়িত ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই দিন ধর্ষণ মামলার ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে উপস্থিত হয়েছিল, কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে আইনজীবীদের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। তবে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভুল বুঝে ক্ষমা চেয়েছে।”

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিশাদ রেজওয়ান বাবু বলেন, “আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আটজন সাধারণ শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়েছেন, এবং আইনজীবীরা তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।”

এ ঘটনা ১০ মার্চ আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের পর চার আইনজীবীসহ মোট ১১ জন আহত হয়। পরবর্তীতে, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন আয়োজন করেন।