সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘লক্ষ্যবস্তু করে’ প্রচারণা চালাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে পাঠানো এক চিঠিতে, টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগগুলি ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ এবং তিনি কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অভিযোগের বিষয়ে অবগত হননি, তবে এগুলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর, টিউলিপ সিদ্দিক তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বিবিসিকে জানান, এই তদন্ত কোনোভাবেই ‘ভিত্তিহীন’ নয় এবং এটি দুর্নীতির প্রমাণের ভিত্তিতে চলছে। তিনি আরও বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক ও পেশাদার প্রক্রিয়া।”
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, যার মাধ্যমে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ববি হাজ্জাজের অভিযোগের ভিত্তিতে, টিউলিপ সিদ্দিকের ভূমিকা ছিল, কিন্তু তার আইনজীবীরা এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন।
চিঠিতে, টিউলিপ দাবি করেছেন যে তিনি কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তিনি বলেন, "পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরে আমন্ত্রণ জানানো অস্বাভাবিক নয়।"
এছাড়া, টিউলিপের আইনজীবীরা দাবী করেছেন যে, ২০০৪ সালে লন্ডনে পাওয়া একটি ফ্ল্যাটের জন্য দুর্নীতির অর্থ ব্যবহার করা হয়নি এবং এটি ‘হাস্যকর’ এবং ‘অসম্ভব’।
এদিকে, দুদক টিউলিপের আইনজীবীদের চিঠির জবাব দিয়েছে। তাদের দাবি, “টিউলিপ সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের দুর্নীতির সুবিধাভোগী ছিলেন।”
দুদক দাবি করেছে, তাদের তদন্ত যথাযথ এবং তারা সময়মতো টিউলিপের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?