clock ,

জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ডের নতুন নথি প্রকাশ, মিলতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ডের নতুন নথি প্রকাশ, মিলতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১৯৬৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত গোপন নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় সংরক্ষণাগার রেকর্ড প্রশাসনের ওয়েবসাইটে ,১০০টিরও বেশি ফাইল উন্মুক্ত করা হয়, যা মোট ৩১ হাজারের বেশি পৃষ্ঠার সমন্বয়ে গঠিত।

গবেষকরা আগেই অনুমান করেছিলেন, প্রায় থেকে সাড়ে হাজার ফাইল এখনো পুরোপুরি বা আংশিকভাবে গোপন রয়েছে। এফবিআই গত মাসে জানিয়েছিল, তারা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত নতুন ,৪০০টি নথি খুঁজে পেয়েছে।

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরসেন্টার ফর পলিটিক্স’-এর পরিচালক দ্য কেনেডি হাফ-সেঞ্চুরিবইয়ের লেখক ল্যারি জে. সাবাতো জানিয়েছেন, তার গবেষক দল নথিগুলো পর্যালোচনা শুরু করেছে, তবে এসবের পূর্ণ গুরুত্ব বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে।

নতুন প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৯১ সালের একটি স্মারকলিপি, যেখানে সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, লি হার্ভে অসওয়াল্ড সম্পর্কে পাঁচটি মোটা নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তিনি কেজিবির কোনো সদস্য ছিলেন না।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, অসওয়াল্ড ছিলেন একজন দুর্বল শ্যুটার এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে থাকাকালীন তাকে ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ডালাস সফরে মোটরকেডে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন কেনেডি। পুলিশ ২৪ বছর বয়সী লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে গ্রেপ্তার করে, যিনি টেক্সাস স্কুল বুক ডিপোজিটরি বিল্ডিংয়ের ষষ্ঠ তলায় স্নাইপার হিসেবে অবস্থান নিয়েছিলেন। দুই দিন পর কারাগারে স্থানান্তরের সময় নাইটক্লাব মালিক জ্যাক রুবি তাকে গুলি করে হত্যা করেন।

এক বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসনের গঠিত ওয়ারেন কমিশন ঘোষণা করে, অসওয়াল্ড একাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন এবং কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি। তবে এই প্রতিবেদন বিতর্ক থামাতে পারেনি, বরং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আরও জোরদার হয়।

১৯৯০-এর দশকের শুরুতে মার্কিন সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত সব নথি জাতীয় সংরক্ষণাগারে সংরক্ষিত থাকবে এবং ২০১৭ সালের মধ্যে এগুলো প্রকাশ করতে হবে। তবে প্রেসিডেন্টের অনুমোদনে কিছু নথি গোপন রাখা যেতে পারে।

২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বলেছিলেন, তিনি সব নথি প্রকাশ করবেন, কিন্তু পরে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু নথি গোপন রাখেন। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলেও কিছু নথি প্রকাশ করা হলেও অনেক তথ্য গোপনই থেকে যায়।

গবেষক সাবাতো জানিয়েছেন, তার দল সংবেদনশীল নথির একটি তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে কিউবা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি এবং অসওয়াল্ডের সঙ্গে সিআইএর সম্পর্ক সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে।

আগে প্রকাশিত নথিতে জানা গিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ আগে অসওয়াল্ড মেক্সিকো সিটিতে সোভিয়েত কিউবান দূতাবাসে গিয়েছিলেন, যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল।

নতুন প্রকাশিত নথিগুলো কেনেডি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে নতুন কোনো সূত্র দেয় কিনা, তা জানতে গবেষকরা আরও বিশ্লেষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য