clock ,

জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে মিসরের গ্র্যান্ড মিউজিয়াম

জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে মিসরের গ্র্যান্ড মিউজিয়াম

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, দর্শনার্থীদের পদচারণার অপেক্ষায় বিশ্বের বৃহত্তম প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। কায়রোয় অবস্থিত গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম (GEM) আগামী জুলাই সম্পূর্ণভাবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।

২০১২ সালে মিউজিয়ামটির নির্মাণকাজ শুরু হলেও নানা কারণে বিলম্বিত হয় এর উদ্বোধন। বর্তমানে ৬০ শতাংশ এলাকা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও, ২০২৫ সালের জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পূর্ণ জাদুঘরটি খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশাল স্থাপত্যশৈলী এবং আধুনিক নকশার মাধ্যমে প্রাচীন সমসাময়িকতার অনন্য সংযোগ স্থাপন করেছে এটি।

মিসরের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই জাদুঘর প্রায় পাঁচ লাখ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি এটি আংশিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে প্রশস্ত প্রবেশপথ, পৃথিবীর প্রথম ঝুলন্ত অবেলিস্ক এবং ,২০০ বছর পুরনো দ্বিতীয় রামেসিসের স্মৃতিস্তম্ভ। জাদুঘরের মূল সিঁড়ি ফারাওদের মূর্তিগুলো দর্শনার্থীদের অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।


মিউজিয়ামের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ তুতেনখামেনের সমাধির মূল্যবান নিদর্শন, যা শিগগিরই নির্দিষ্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে। পাঁচ হাজার বছরের মিসরীয় ইতিহাসের নানা গুরুত্বপূর্ণ বস্তু এখানে সংরক্ষিত হয়েছে। দর্শনার্থীরা অনুভূমিক টাইমলাইনের মাধ্যমে মিসরের ইতিহাসের বিভিন্ন যুগ সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

২০২৩ সালে জাদুঘরটি "Traces of Egypt" নামে একটি প্রদর্শনী আয়োজন করেছিল, যেখানে স্থানীয় শিল্পীদের মাধ্যমে মিসরীয় ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ তুলে ধরা হয়। এটি শুধু একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা নয়, বরং উদ্ভাবন সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে মিসরের সাংস্কৃতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করতে যাচ্ছে।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য