বাংলাদেশি সিনেমা ‘সাবা’ এবার জায়গা করে নিয়েছে জাপানের ২০তম ওসাকা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা বিভাগে। মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত এই সিনেমাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সিনেমার জন্য এক নতুন মাইলফলক।
পরিচালক মাকসুদ হোসাইন জানিয়েছেন, ‘ওসাকায় “সাবা”র তিনটি প্রদর্শনী হবে। উৎসবে আমি নিজেও অংশগ্রহণ করব।’ উৎসবটি শুরু হবে ১৪ মার্চ এবং চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত। এর আগে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের বার্লিনাল ট্যালেন্টস সেশনে অংশগ্রহণ করে দেশে ফিরেছেন মাকসুদ হোসাইন। এবার তিনি প্রস্তুত হচ্ছেন জাপানের এই মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের কাজ উপস্থাপনের জন্য। ‘সাবা’র প্রদর্শনীর পাশাপাশি পরিচালক মাকসুদ হোসাইনকে নিয়ে একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আলোচনা হবে তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রা, পরিচালনায় আসার গল্প এবং বিশেষ করে ‘সাবা’ নির্মাণের অভিজ্ঞতা নিয়ে।
পরিচালক জানিয়েছেন, আগামী জুন মাসে ‘সাবা’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত বছর আমরা সিনেমাটি মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার আমরা জুনের শেষ সপ্তাহ বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সিনেমাটির গল্প আবর্তিত হয়েছে দুই যুগ আগে ঘটে যাওয়া একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেই দুর্ঘটনায় ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী এবং তার মা আহত হয়। দুর্ঘটনার ফলে কিশোরীটি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তার মা হুইলচেয়ারে বসতে বাধ্য হন। দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি এবং সেই পরিবারের সংগ্রামই এই সিনেমার মূল বিষয়বস্তু।
মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী, আর কিশোরীর চরিত্রে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তফা মন্ওয়ার।
‘সাবা’র ওসাকা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান পাওয়া নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য একটি বড় অর্জন। এটি মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়া সিনেমা, যা তার ক্যারিয়ারের জন্যও একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
উৎসব শেষে সিনেমাটি কেমন প্রতিক্রিয়া পায় এবং এর মুক্তির পর দর্শকদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাওয়া যায়, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?