ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে সমকামী সম্পর্কের দায়ে দুই কলেজছাত্রকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। স্থানীয় বান্দা আচেহর বুস্তানুসালাতিন সিটি পার্কের একটি হলে বহু মানুষ এই বেত্রাঘাত প্রত্যক্ষ করেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে ২০০৬ সালে আচেহ প্রদেশে ইসলামিক আইন কার্যকর হয়। এরপর থেকে সেখানে চতুর্থবারের মতো সমকামিতার জন্য মানুষকে বেত্রাঘাত করা হলো। ২৪ ও ১৮ বছর বয়সী ওই দুই তরুণকে একটি পাঁচ জনের দল যথাক্রমে ৮২ ও ৭৭ বার পিঠে চাবুক মারে। ২০টি বেত্রাঘাতের পর তাদের পানি পানের বিরতি দেওয়া হয় এবং তাদের ক্ষতের চিকিৎসা করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর, বাসিন্দারা তাদের সমকামী সন্দেহে গত নভেম্বরে আটক করে। পরে শরিয়াহ পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার শরিয়াহ আদালত ওই দুই শিক্ষার্থীকে যথাক্রমে ৮৫ ও ৮০ বার বেত্রাঘাতের সাজা দিলেও কারাগারে সময় কাটানোর পর তাদের ৮২ ও ৭৭ বার বেত্রাঘাত করা হয়। এদের মধ্যে একজন শেষ বেত্রাঘাতের পরে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়া অপর এক বিচারে জুয়া খেলার অপরাধে আরও দু'জনকে যথাক্রমে ৩৪ ও ৮ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। কয়েক দশক ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধের অবসানে শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ২০০৬ সালে আচেহকে ইসলামি শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের অধিকার দেয় ইন্দোনেশিয়ার ধর্মনিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় সরকার। একটি ধর্মীয় পুলিশ এবং আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে। আচেহে জুয়া, মদ্যপান, আঁটসাঁট পোশাক পরা নারী এবং শুক্রবারের নামাজ এড়িয়ে যাওয়া পুরুষদের জন্য বেত্রাঘাতের শাস্তির বিধান আছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ফৌজদারি আইন সমকামিতা নিয়ন্ত্রণ করে না এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আচেহে শরিয়াহ আইন বাতিল করার ক্ষমতা নেই।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?