চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি থেকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারের পরই তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি বলেন, "কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা দিয়ে আমার জামাইকে ছাড়িয়ে আনবো। যারা এটা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।"
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তামান্না শারমিন জানান, ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই জামিনে বের হবেন সাজ্জাদ। তিনি বলেন, "আমার জামাই গ্রেপ্তার হয়েছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মামলা যখন আছে, গ্রেপ্তার হবেই। যারা ভাবছেন আর বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।"
সাজ্জাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৭টি মামলা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফেসবুক লাইভে এসে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে বিবস্ত্র করে পেটানোর হুমকি দেন তিনি। এছাড়া চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজের বিরুদ্ধেও আপত্তিকর বক্তব্য দেন সাজ্জাদ। ওসি আরিফকে হুমকির পরই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। অবশেষে শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের তথ্যমতে, সাজ্জাদ হোসেন চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা ও মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, "সাজ্জাদ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।" পুলিশ বলছে, সাজ্জাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার স্ত্রী তামান্নার হুমকির বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।
সাজ্জাদের স্ত্রীর এমন বক্তব্যে সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, এ ধরনের মন্তব্য বিচার ব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা এবং অপরাধীদের দৌরাত্ম্যের প্রমাণ।
চট্টগ্রাম পুলিশ জানিয়েছে, সাজ্জাদকে দ্রুত চট্টগ্রামে এনে আদালতে তোলা হবে এবং তার জামিনের বিরোধিতা করা হবে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী তামান্নার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?