চলতি বছরের জুন মাস থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দের নথি পাওয়া যায়নি। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্লট বরাদ্দসংক্রান্ত পাঁচটি নথি পাওয়া গেলেও দ্বিতীয় নথিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি, যেখানে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্লট বরাদ্দের নির্দেশ ছিল। এর ফলে ওই নথিতে কারা স্বাক্ষর করেছেন তা এখনও অজানা রয়ে গেছে। তবে, অন্যান্য প্লট বরাদ্দের নথিগুলিতে শেখ হাসিনা ও তার একান্ত সচিব-১ স্বাক্ষর করেছেন।
দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা মনে করছেন, ওই নথিতে শেখ হাসিনা ও তার এপিএস-১ সালাহ উদ্দিন স্বাক্ষর করেছেন এবং তাকে আসামি করার সুপারিশ করা হবে। এছাড়াও, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকেও আসামি করার সুপারিশ করা হতে পারে। শিগগিরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশসহ কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, দুদক থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্লট বরাদ্দের নথি চেয়ে চিঠি পাঠানো হলে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, নথিটি ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের ১০৫ নম্বর কক্ষে সংরক্ষিত ছিল, তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা চালানো হয় এবং এরপর থেকে নথিটির আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে, শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, গত জানুয়ারিতে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করা হয়।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?