কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীও রয়েছেন।
রোববার ভোরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন—আবদুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে অনিক।
গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী জানান, ঘটনার রাতে বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে অভিযুক্ত ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ধর্ষণের পর আশপাশের ১০-১২ জন যুবক ওই নারীর বাড়িতে এসে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওটি ভাইরাল হলে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নির্যাতনের সময় নারী বারবার প্রাণভিক্ষা চাইছিলেন।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণ ও ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত অভিযান চালায়।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় নারী যে অভিযোগ দিয়েছেন, তাতে ভিডিও ধারণ ও নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সূত্র ধরে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন জানান, প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। অন্য চারজনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?