clock ,

স্টারলিংক পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে টানাপোড়েন

স্টারলিংক পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে টানাপোড়েন

ইউক্রেনের ভূখণ্ডে থাকা খনিজ সম্পদের প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নিয়ে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে ওয়াশিংটনের একটি প্রতিনিধি দল। খনিজ সম্পদের ভাগ না দিলে ইউক্রেনে স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত তিনটি সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছে একটি প্রস্তাবনা দেন, যেখানে খনিজ সম্পদের ভাগ চাওয়া হয়। তবে জেলেনস্কি সেটি নাকচ করে দেন।

এরপরই স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়।ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্টারলিংকের মাধ্যমে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বর্তমানে যোগাযোগ রক্ষা করছে।এক সূত্র জানিয়েছে, স্টারলিংককে হারানো যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের জন্য বড় ধাক্কা হবে।

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,"সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের খনিজ সম্পদের ভাগ দিতে হবে।" নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনীয় দল এখন চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। ট্রাম্প বলেছেন,"আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছি।"

স্টারলিংক না থাকলে ইউক্রেনের সামরিক যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো মেলিন্ডা হারিং বলেছেন,"ইউক্রেনের ড্রোন হামলা সামরিক কৌশলের জন্য স্টারলিংক মূল চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টারলিংক হারানো মানেই যুদ্ধে ইউক্রেনের পরাজয়।" বিষয়ে হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই দেশটিতে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধক্ষেত্রে স্টারলিংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায়, খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য