ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উদ্দেশে যাত্রা করা একটি ত্রাণবাহী জাহাজ থামিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে গেছে ইসরায়েল । সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ জন যাত্রী নিয়ে ‘ম্যাডলিন’ নামের জাহাজটি সোমবার (৯ জুন) আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হস্তক্ষেপের শিকার হয়। থুনবার্গ, আরও দুই অ্যাক্টিভিস্ট এবং এক সাংবাদিক পরে স্বেচ্ছায় ইসরায়েল ত্যাগ করেন। তবে বাকি আটজনের এখনো ইসরায়েলের হেফাজতে রয়েছেন।
নাগরিক অধিকার সংস্থা ‘আদালাহ’ জানিয়েছে, ফেরত যেতে অস্বীকৃতি জানানো আটজনের বিষয়ে ইসরায়েলি আদালতে শুনানি হবে। এদের মধ্যে কয়েকজন মানবাধিকারকর্মী এবং একজন ফরাসি নাগরিকও রয়েছেন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আটককৃতদের কনসুলার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যাঁরা দেশ ত্যাগে রাজি হয়েছেন, তাঁরা বিচারকের সামনে হাজির না হয়ে স্বেচ্ছায় চলে গেছেন। বাকিদের ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত আটক রেখে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হবে।
গন্তব্য ছিল গাজা, বাধা দিল ইসরায়েল
‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর আয়োজনে যাত্রা শুরু করে ‘ম্যাডলিন’, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং ইসরায়েলের অবরোধ ও মানবিক সংকটের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানো। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, জাহাজটি তাদের ‘বৈধ নৌ অবরোধ’ ভাঙার চেষ্টা করছিল, তাই আটক করা হয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলেছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেসামরিক মানবিক মিশনের ওপর অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। অ্যামনেস্টি ও ‘আদালাহ’ উভয়ই আটকদের অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষভাবে লক্ষণীয়, থুনবার্গ সাধারণত আকাশপথে ভ্রমণ পরিহার করেন। তবুও ইসরায়েলের তোলা একটি ছবিতে তাঁকে বিমানে দেখা যায়—যা তাঁর পরিবেশবাদী অবস্থানকে ঘিরে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং গাজা সংকট নিয়ে নতুন করে আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?