বৈশ্বিক স্টার্টআপ র‌্যাংকিংয়ে সিঙ্গাপুর চতুর্থ

২০২৫ সালের বৈশ্বিক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম র‌্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। ২০২৪ সালে অবস্থান ছিল পঞ্চম। গবেষণা প্ল্যাটফর্ম StartupBlink প্রকাশিত ২০২৫ গ্লোবাল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ইনডেক্স অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের উপরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল।

২০২০ সালের পর থেকে সিঙ্গাপুর এই সূচকে ১২ ধাপ এগিয়েছে, যা বৈশ্বিকভাবে দ্রুততম গতিতে এগিয়ে চলা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমগুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

StartupBlink বলছে, সিঙ্গাপুরের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ, স্টার্টআপদের জন্য শক্তিশালী সহায়ক কাঠামো, বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি, স্টার্টআপ সুযোগের সহজলভ্যতা, বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানির ঘনত্ব এবং অভিজ্ঞ স্থানীয় দক্ষ মানবসম্পদ।

বিশ্বের ১১৮টি দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম মূল্যায়ন করে তৈরি করা এ সূচকে আরও বলা হয়, ফিনটেক, ফুডটেক, এআই এবং উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তিসহ ডিপ-টেক ও কৌশলগত খাতে নেতৃত্ব দিতে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিয়েছে সিঙ্গাপুর। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবল গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিই করছে না, বরং স্টার্টআপ সংযোগ এবং ক্যাম্পাসে উদ্যোক্তা কার্যক্রম উৎসাহিত করেও ইকোসিস্টেমে ভূমিকা রাখছে।

এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুরের ইনোভেশন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমিলি লিউ বলেন, সিঙ্গাপুরের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বৈশ্বিক প্রতিভা ও সহযোগিতার জন্য সুযোগ রয়েছে। এটি টেকসই স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির সম্পদ এবং বাজারে প্রবেশের পথ তৈরি করে দেয়, এমনকি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মাঝেও।

তিনি আরও জানান, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর এই ইকোসিস্টেম আরও শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবে এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠা উদ্ভাবনী আন্তর্জাতিক স্টার্টআপগুলোকে এ অঞ্চলসহ বৃহত্তর বাজারে প্রবেশের জন্য সিঙ্গাপুরকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করার আহ্বান জানায়।

সিঙ্গাপুরের এই অগ্রগতি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন দেশটিতে স্টার্টআপ অর্থায়নে উল্লেখযোগ্য গতি এসেছে এবং সরকার কোম্পানিগুলোর জন্য সহায়তা আরও বাড়িয়েছে।

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিচবুক প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে সিঙ্গাপুর আসিয়ান অঞ্চলের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশ দখল করে নিয়েছে, যার মোট চুক্তির মূল্য ছিল ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৬.২৫ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার)।

২০২৪ সালের অক্টোবরে সরকার ঘোষণা দেয়, স্থানীয় ডিপ-টেক স্টার্টআপে বিনিয়োগ বাড়াতে অতিরিক্ত ৪৪০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হবে। এই অর্থ স্টার্টআপ এসজি ইকুইটি প্রকল্পে যোগ হবে, যা পরিচালনা করছে এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (EDB)।

এই বরাদ্দের ফলে প্রকল্পটির আওতায় সরকারী তহবিলের পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হয়ে দাঁড়াবে।

এছাড়াও ২০২৫ সালের এপ্রিলেই, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর ও ঊউই যৌথভাবে চালু করেছে SG Growth Capital নামের একটি কৌশলগত বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে স্টার্টআপ অর্থায়ন এবং ভেঞ্চার ডেভেলপমেন্টে সমন্বিত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুর বিজনেস রিভিউ