ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক (বরখাস্ত) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের আটটি ব্যাংক হিসাবে ১২০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের চারটি ব্যাংক হিসাবে ২২২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এ দম্পতি প্রায় ৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩৪২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।
নাগরিকত্ব ও বিদেশে বিনিয়োগ
দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৭ সালে জিয়াউল আহসান এন্টিগুয়া অ্যান্ড বার্বুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। নাগরিকত্ব নেওয়ার সময় তিনি এবং তার পরিবার মালয়েশিয়ার দুটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ২ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করেন। এছাড়া, তিনি এন্টিগুয়া অ্যান্ড বার্বুডায় পাঁচ বছরের মেয়াদি বন্ডে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
বিদেশে অর্থ পাচার
জিয়াউল আহসান শুধু বার্বুডাতেই নয়, দুবাই, মালয়েশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রেও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।
গতকাল বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (বরখাস্ত) নিজ নামে ২২ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে, এ দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে, অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?