দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ কাটছাঁট করতে ডিওজিই গঠন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিভাগের প্রধান করা হয়েছে ধনকুবের ইলোন মাস্ককে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় সংকোচনে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ডিওজিই। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) কয়েকটি অনুদান প্রকল্পের নাম উল্লেখ করে সেগুলো বাতিলের ঘোষণার কথা জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে ডিওজিই বলে, ‘নিচের বিষয়গুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের অর্থ খরচ করার কথা ছিল, তবে এগুলো সব বাতিল করা হয়েছে।’ ১৫টি অনুদান প্রকল্পের এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের অনুদান।
বাতিল করা প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে ভারতের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের একটি তহবিলও। এছাড়া নেপালের ‘ফিসক্যাল ফেডারেলিজম’ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার, লিবিয়ার ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য দেড় কোটি ডলার, মালির সামাজিক সংহতির জন্য বরাদ্দ করা ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার, সাউদার্ন আফ্রিকার সমন্বিত গণতন্ত্রের জন্য ২৫ লাখ, এশিয়ার শিক্ষণ কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বরাদ্দ করা ৪ কোটি ৭০ ডলার অনুদানসহ মোট ১৫টি পরিকল্পনা বাতিলের কথা জানানো হয়েছে ওই পোস্টে।
অনেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবর বলছে, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বাইরের শক্তি কীভাবে হস্তক্ষেপ করে, ডিওজিইর এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে বিশ্বব্যাপী ইউএসএআইডির সহায়তা স্থগিত করারও ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?