গত সোমবার মার্কিন গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি থামানোর দুটি উপায় আছে বোমা ফেলা তেহরানের কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি নেওয়া যে তারা কর্মসূচি বন্ধ করবে তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান, তবে ইরান যদি রাজি না হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার কথা বললেও, তাদের আচরণ আগ্রাসী। একদিকে সংলাপের কথা বলা, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াএটা গ্রহণযোগ্য নয়।কোনো হুমকির মুখে ইরান পিছু হটবে না। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানিয়েছেন ইরান দ্রুত সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে। ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ করা হবে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কিত বিষয়। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি (JCPOA) থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরে যায়, এরপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইরান বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ, কিন্তু পশ্চিমারা মনে করে, তেহরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে এবং বলেছে, তারা নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের এই উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?