শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে হিমালয় অঞ্চলের দেশ নেপালে। মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানে এই ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.১। তবে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর নেপালে আরও ৬টি আফটার শক (পরাঘাত) অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। সাধারণত কোথাও ভূমিকম্প হলে, তার পরের কিছুক্ষণ ধরে এই ধরনের কম্পন দেখা যায়। আর এই কম্পনকে বলে আফটারশক।
৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটির পর প্রথম আফটার শক আঘাত হানে ৭টা ১৩ মিনিটে, যার মাত্রা ছিল ৫.১। এরপর ৭টা ২৪ মিনিটে ৫ মাত্রার, ৭টা ৩২ মিনিটে ৪.৮ মাত্রার, ৭টা ৩৭ মিনিটে ৪.৯ মাত্রার, ৭টা ৪৩ মিনিটে ৪.৯ মাত্রার এবং ৮টা ৩৪ মিনিটে ৪.৩ মাত্রার আফটার শক অনুভূত হয়। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে মাটি থেকে ১০কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চীনের জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)। অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
সকালের শক্তিশালী ভূমিকম্পটি বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে।
নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমুন্ডু পোস্ট বলছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫১ মিনিটে কাঠমান্ডু ও আশপাশের জেলাগুলোতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ধাদিং, চিতওয়ান, সিন্ধুপালচোক, কাভরে এবং মাকওয়ানপুর জেলাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে নেপালি এই সংবাদমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া বলে জানিয়েছে।
বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে। ওই এলাকার নিকটবর্তী ড্যামাকসং কাউন্টির গেদার শহরে হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে। ৯ জনের মৃত্যু ও ১১ জন আহত হওয়ার খবর জানানো হয়।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?