ইরাকের কারবালা শহরে হাজার বছর আগের কোরআনের এক বিরল পান্ডুলিপি উদ্ধার করা হয়েছে। এই পান্ডুলিপি সংরক্ষণে কাজ করছে স্থানীয় এক মাজারের নথি আর্কাইভ কেন্দ্র।
আর্কাইভ কেন্দ্রের প্রধান আবদুল লতিফ জাহরা বলেন, ২০২৫ সালের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ পান্ডুলিপি উদ্ধারের কাজ করা হয়েছে। এই উদ্ধার প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। এতে পা-ুলিপির বিভিন্ন পরীক্ষা, ফাটল মেরামত, মলাট পুনর্নির্মাণ এবং সংরক্ষণের জন্য একটি বিশেষ বাক্স তৈরি করা হয়েছে। এটি আবার মাজারের আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার ফলে এর পৃষ্ঠাগুলো ভেঙে গেছে এবং কিছু অংশ আলাদা হয়ে গেছে। প্রথমেই আমরা পান্ডুলিপির ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো চিহ্নিত করি। পৃষ্ঠাগুলো ক্রমানুসারে নম্বর দিয়ে সাজাই এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষতির নথি তৈরি করি। এরপর পরীক্ষার মাধ্যমে কাগজ, রঙ, অলংকরণ ও লেখার কালি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করি।
তিনি আরও বলেন, ১০ম শতাব্দীর কোরআনের এই পান্ডুলিপি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না, বরং এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যও অতুলনীয়। পান্ডুলিপিটি পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্য হলো এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা। পান্ডুলিপি সংরক্ষণ আমাদের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক। আমরা এমন একটি টেকসই পদ্ধতিতে সংরক্ষণের কাজ করছি, যাতে এটি ভবিষ্যতে যেকোনো পরিবেশগত ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকে। এই বিরল কোরআনের কপি পুনরুদ্ধারের কাজ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি প্রমাণ করে, অতীতের এই অমূল্য সম্পদ সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতের জন্য উপহার দেওয়াই সত্যিকারের ঐতিহ্যের রক্ষা।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?