ভ্যাট ও সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি বৃদ্ধির পর মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে সরকার আটটি খাতে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাত হলো ওষুধ, টকটাইম, ইন্টারনেট, এবং রেস্তোরাঁ।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ভ্যাট কমানোর প্রধান বিষয়গুলো:
মুঠোফোন টকটাইম ও ইন্টারনেট সেবা: মুঠোফোনে সিম বা রিম কার্ড ব্যবহার করে টেলিফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক আগের ২০ শতাংশ হারে ফেরত আনা হয়েছে। আগে এটি বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছিল। ইন্টারনেট সংস্থার (ISP) সেবার ওপর নতুন আরোপিত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কও পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রেস্তোরাঁ বিল: রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট পূর্বের ৫ শতাংশ হারেই কার্যকর হবে। আগে এটি ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল, যা এখন বাতিল করা হয়েছে।
পোশাক: নন-ব্র্যান্ডেড পোশাকের ভ্যাট হার আবার আগের মতো সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। আগে এটি ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল। তবে ব্র্যান্ডেড পোশাকে ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ বহাল থাকবে।
ওষুধ: ওষুধে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ওষুধের দাম স্থিতিশীল থাকবে। এনবিআরের মতে, এ সিদ্ধান্ত ওষুধ শিল্পের বিকাশ বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
মিষ্টির দোকান ও নন-এসি হোটেল: মিষ্টির দোকানে ভ্যাট: ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
নন-এসি হোটেল: ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ: এ খাতেও ভ্যাট হার কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রায় ১০০টি পণ্য ও সেবায়
ভ্যাট বৃদ্ধির পর দেশজুড়ে সমালোচনা
এবং ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ দেখা দেয়। এর
জেরেই সরকার কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট
কমানোর উদ্যোগ নেয়। তবে এখনো
অনেক খাতে বর্ধিত ভ্যাট
বহাল রয়েছে।
সরকার মনে করছে, ওষুধ,
ইন্টারনেট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়
সেবার ভ্যাট কমানোর ফলে সাধারণ ভোক্তা
স্বস্তি পাবেন। পাশাপাশি, ব্যবসায়ীদের কিছুটা চাপও লাঘব হবে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?