যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও চীন থেকে আসা আমদানিপণ্যে পুনরায় শুল্কারোপের অঙ্গীকার করেছেন। এ ছাড়া, মাদক তৈরির উপাদান ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের কথাও বলেছেন তিনি।
গত সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর মঙ্গলবার হোয়াইট
হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেছিলেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপ
করবেন। যদিও প্রথম দিনেই
তিনি এ ধরনের নির্বাহী
আদেশ দেননি। ফলে আর্থিক বাজার
ও বাণিজ্যিক গোষ্ঠীগুলো কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
তবে ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আমদানিতে শুল্কের আওতা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। তার বক্তব্য ইঙ্গিত দেয়, তিনি এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর আওতায় কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিতেও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইইউ এবং অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, "ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে। ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে শুল্কারোপই একমাত্র উপায়। চীন সম্পর্কেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই চীনের আমদানিপণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।
মেক্সিকো ও কানাডা থেকে চীন-উৎপাদিত ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, যদি তারা এই পাচার বন্ধ না করে, তবে তাদের আমদানিপণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে। হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাম্প চান কানাডা ও মেক্সিকো তাদের সীমান্তে মাদকের প্রবেশ বন্ধ করুক। শুল্ক আরোপের হুমকি তাদের ওপর চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধের বিষয়গুলো সমাধানের এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহী। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, বাণিজ্য যুদ্ধে কেউই জয়ী হয় না। তবে চীন তার জাতীয় স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে। চীনের সঙ্গে স্থিতিশীল ও টেকসই সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এ ধরনের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাতে পারে। যদিও এর উদ্দেশ্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খাতকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?