সৌদি মানবাধিকার কর্মী আবদুররহমান আল-খালিদিকে সৌদি আরবে ফেরত না পাঠাতে এবং তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে বুলগেরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ২০টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। সংস্থাগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল-খালিদিকে সৌদি আরবে ফেরত পাঠালে তিনি নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং অন্যায় বিচারের শিকার হতে পারেন।
২০১৩ সালে নিরাপত্তার কারণে সৌদি আরব ত্যাগ করেন আল-খালিদি। পরে তিনি বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে মানবাধিকার নিয়ে কাজ চালিয়ে যান এবং সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যাকাণ্ডের পর তার অনলাইন আন্দোলন "Bees Army"-তে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২০১৮ সালে তিনি বুলগেরিয়ায় প্রবেশ করেন এবং ২০২১ সালে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। তবে ২০২২ সালে বুলগেরিয়ার শরণার্থী বিষয়ক কর্তৃপক্ষ তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বুলগেরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা আল-খালিদির বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ জারি করে। এরপর অক্টোবর মাসে আদালত এই আদেশ বহাল রাখে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, আল-খালিদির আশ্রয় আবেদন সংক্রান্ত আপিল প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফেরত পাঠানো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক জোয়ি শিয়া বলেন, "বুলগেরিয়া যদি আল-খালিদিকে ফেরত পাঠায়, তাহলে তারা সৌদি সরকারের দমননীতির অংশীদার হবে।" এনজিওগুলো বলছে, আল-খালিদি বর্তমানে সোফিয়ার বুসমানসি ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন, যেখানে তিনি পুলিশি নির্যাতন ও দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার শিকার হচ্ছেন।
জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন এবং ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে এমন দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না, যেখানে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অবিলম্বে আল-খালিদির মুক্তি এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?